ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা ৭ বাংলাদেশি হিন্দুকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মৌলভিবাজারের কুলাউড়ায় সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন দুই পুরুষ, দুই নারী এবং তিন শিশু। সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিজিবি। রিপোর্ট অনুযায়ী, ধৃতরা কুলাউড়া উপজেলা, বরমচাল ইউনিয়ন এবং শ্রীমঙ্গলের বাসিন্দা শরিফপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। নাম - সুদামা রবি দাস, শ্রী রাম দাস কানু, বীণা কানু, রিথীকা কানু, অনু কানু, তনু কানু ও তিন্নি কানু। (আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশে অনুদান নিয়ে ট্রাম্পের দাবির পর 'গোপন নথি' নষ্টের নির্দেশ USAID-এর)
আরও পড়ুন: 'মার্কিন মদে ১৫০% শুল্ক ভারতের', ফের একবার দিল্লিকে নিশানা ওয়াশিংটনের
রিপোর্ট অনুযায়ী, আলাল মিয়া, আমির হামজা ও সানোয়ার হোসেন নামে তিন দালাল এই ৭ জনকে সীমান্ত পার করে দেওয়ার চেষ্টা করে। এই সময় বিজিবি গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে পৌঁছায়। তবে বিজিবি তিন দালালের একজনকেও ধরতে ব্যর্থ হয়। এদিকে দালালদের কীভাবে সেখান থেকে পালাতে দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এদিকে দালালদের নাম জানা সত্ত্বেও পরবর্তীতে দালালদের খোঁজে বিজিবি তল্লাশি চালিয়েছে বলেও জানা যায়নি। (আরও পড়ুন: 'মেয়েদের দুটো জায়গার চুল ছাড়া অন্য জায়গার চুল কাটা হারাম')
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সেনাপ্রধানের পদ নিয়ে জল্পনার মাঝেই বড়সড় বদলের নির্দেশ ইউনুসের
এদিকে এদিকে সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিএসএফ আরও তৎপর হয়েছে। তবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলে তাতে আপত্তি জানাচ্ছে বিজিবি। অপরদিকে অনুপ্রবেশকারী বা পাচারকারীদের গুলি করলে তাতেও আপত্তি ওপারের শাসক গোষ্ঠীর। প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে সংঘাত দেখা গিয়েছে বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে। এই আবহে মালদা সহ একধিক জায়গায় ভারতীয় ভূখণ্ডের কাঁটাতার দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ছে বিএসএফ। এর জেরে সীমান্তের বহু জায়গায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা। এই ইস্যুতে বাংলাদেশের দাবি, ১৯৭৫ সালে যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত চুকি দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তা অনুযায়ী, সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে ১৫০ গজ ভিতরে 'প্রতিরক্ষা কাঠামো' তৈরি করা যাবে। এদিকে ২০১০ সালে অবশ্য বাংলাদেশ ভারতকে লিখিত আকারে অনুমতি দিয়েছিল যে সীমান্তে ১৫০ গজের ভিতরেও প্রয়োজনে কাঁটাতারের বেড়া দিতে পারবে ভারত। এই কথা নিজে স্বীকার করেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। এখন বাংলাদেশের গদিতে 'মুখ' পরিবর্তনের পরে তাদের অভ্যন্তরীণ সমীকরণ যাই হয়ে থাকুক না কেন, আগের সরকারের স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক আন্তর্জাতিক চুক্তি মানতে বাধ্য তারা।