সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে রণক্ষেত্র বাংলাদেশ। একের পর এক হিংসার ঘটনা। এসবের মধ্যেই আন্দোলনকারীরা একেবারে ভয়াবহ কাণ্ড ঘটাচ্ছেন বলে খবর। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব সম্প্রচার ব্যবস্থা বিটিভির সদর দফতরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে যায় যে অনেকেই ওই অফিসের মধ্যে আটকে পড়েছিলেন।
ওই অফিসের এক আধিকারিক এএফপিতে জানিয়েছেন, শয়ে শয়ে প্রতিবাদকারী গোটা অফিস চত্বরে তাণ্ডব চালায়। অন্তত ৬০টা গাড়িতে ওরা আগুন ধরিয়ে দেয়। আমাদের বিল্ডিংয়েও ওরা আগুন ধরায়।
রামপুরাতে পুলিশ পোস্টে ওরা আগুন লাগিয়ে দেয়। এরপর পুলিশ শূন্যে গুলি চালায়। এদিকে প্রতিবাদকারীরা এলাকায় রীতিমতো তাণ্ডব চালায়। বিটিভির ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, আগুন দ্রুত ছড়াতে থাকে। অনেকেই অফিসের মধ্য়ে আটকে পড়েছিল।
বাংলাদেশে দফায় দফায় উত্তেজনা। এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে এই হিংসার ঘটনায় ২২জন জখম হয়েছেন বলে খবর।
তবে বাংলাদেশের রাজধানীর রামপুরায় বাংলাদেশে টেলিভিশনের গেটে প্রথম আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। এরপর তারা টেলিভিশন অফিসের ভেতরে ঢুকে পড়েন। তাণ্ডব চলতে থাকে। সাময়িকভাবে সম্প্রচার বন্ধ করে দেয় বিটিভি। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টের পরে এই ঘটনা হয় বলে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্য়ম সূত্রে জানা গিয়েছে।
কী হয়েছিল ঘটনাটি?
সূত্রের খবর, সকাল থেকেই রামপুরা- বাড্ডা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হচ্ছিল। তার মধ্য়েই পুলিশ রবার বুলেট ছুঁড়তে থাকে। তাতে কয়েকজন আন্দোনকারী আহত হন। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রামপুরায় গাড়ি চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। গোটা এলাকা স্তব্ধ হয়ে যায়। তার মধ্য়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ। দফায় দফায় হিংসার ঘটনা। অনেকেই আহত হয়েছেন। তার মধ্য়েই বিটিভির অফিসের দরজায় প্রথমে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ভেতরে ঢুকে পড়ে আন্দোলনকারীরা। সেই অফিসেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে অফিস। বিটিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্য়মিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান( স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা কারিগরি প্রতিষ্ঠান) এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলির যাবতীয় ক্লাস পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রক।
মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রকের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল বিদ্যালয় ও কলেজগামী পডুয়াদের নিরাপত্তার কথাটি বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন ক্রমেই অন্যদিকে মোড় নিচ্ছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুরে ছড়িয়ে পড়ছে আন্দোলন। সব মিলিয়ে ৬জন নিহত হয়েছেন।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশের বিভিন্ন স্কুল কলেজের সামনে চলছে আন্দোলন।