তিনি ঘোষিত 'ট্রাম্প বিরোধী'। অন্তত ২০১৬ সালে তাই ছিলেন। তবে এখন তিনি বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। তিনি মহম্মদ ইউনুস। মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ে তিনি অস্বস্তিতে আছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। এরই মাঝে অবশ্য ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন ইউনুস। এই নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান বলেন, 'আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় আমি বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া এটাই বোঝায় যে আপনার নেতৃত্ব ও লক্ষ্য আমেরিকার জনগণের মধ্যেও প্রতিফলিত হয়েছে।' (আরও পড়ুন: আমেরিকায় কমলার হার, ট্রাম্পের জয়... কী বললেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুন্দর-সত্যরা?)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হিন্দুদের ইস্যুতে ট্রাম্প কি এবার কিছু করবেন? সামনে এল বড় দাবি
নিজের বার্তায় ট্রাম্পের উদ্দেশে ইউনুস আরও বলেন, 'আমি নিশ্চিত, আপনার নেতৃত্বে আমেরিকা উন্নতি করবে ও বিশ্ব জুড়ে অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে। বাংলাদেশ ও আমেরিকার পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। আপনার আগের মেয়াদে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। দু’দেশের বোধাপড়া আরও শক্তিশালী করতে ও স্থিতিশীল উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছি আমি।' (আরও পড়ুন: ট্রাম্প পত্নীকে নিয়ে 'কুরুচিকর মজা' সিংভির, 'সেক্স টেপ' নিয়ে খোঁচা তরুণজ্যোতির)
আরও পড়ুন: ডিএ বৃদ্ধি রাজ্যের IAS-IPSদের, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের কর্মীরা পাবেন বকেয়া মহার্ঘ ভাতা
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মদম্মদ ইউনুসের সঙ্গে মার্কিন ডেমোক্র্যাটদের সুসম্পর্কের কথা অনেকেই জানেন। এর আগে ২০১৬ সালে ট্রাম্প জেতার পরে প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে ইউনুস বলেছিলেন, 'ট্রাম্পের এই জয় সূর্য গ্রহণের মতো। কালো দিন আসছে। তা যেন আমাদের গ্রাস না করে, আত্মশক্তিকে দুর্বল না করে দেয়।' আর পরে যখন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিল, তখন নাকি ইউনুসের নাম না নিয়েই ট্রাম্প বলেছিলেন, 'ঢাকার মাইক্রোফাইন্যান্সের সেই ব্যক্তি কোথায়? শুনেছি, তিনি আমাকে হারাতে চাঁদা দিয়েছিলেন।' উল্লেখ্য, সেবার ট্রাম্প হারিয়েছিলেন হিলারি ক্লিনটনকে। আর ক্লিনটন পরিবারের সঙ্গে ইউনুসের ঘনিষ্ঠতা সর্বজনবিদিত। সম্প্রতি বাংলাদেশের মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে মার্কিন সফরে গিয়েও বিল ক্লিনটনের ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন ইউনুস। সেখানে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের 'মাথা'কে চিনিয়ে দিয়েছিলেন ইউনুস। (আরও পড়ুন: সন্দেশখালির রেখাকে কি 'মাল' বলে সম্বোধন ফিরহাদের? শোরগোল বঙ্গ রাজনীতিতে)
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত, বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে, রইল আবহাওয়ার আপডেট
এদিকে কয়েকদিন আগে দিওয়ালি উপলক্ষে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আবার ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ নিয়ে সরব হয়েছিলেন। সেখানে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার নিয়ে কমলা-বাইডেনকে তোপ দেগেছিলেন ট্রাম্প। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ এই বিষয়ে ট্রাম্প লিখেছিলেন, 'অশান্ত বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুরা প্রতিনিয়ত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। সেখানে লুঠপাট চলছে। আমি এর তীব্র ভাষায় নিন্দা জানাচ্ছি। আমি ক্ষমতায় থাকলে, এমন কখনও হত না। কমলা হ্যারিস ও জো বাইডেন আমেরিকায় এবং বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের গুরুত্ব দেননি। ইজরায়েল থেকে ইউক্রেন, এমনকী আমাদের নিজেদের দক্ষিণ সীমান্তেও বিপর্যয় ঘটিয়েছে। তবে আমরা ফের আমেরিকাকে শক্তিশালী করব এবং শক্তির মাধ্যমেই শান্তি ফিরিয়ে আনব। আমরা হিন্দু মার্কিন নাগরিকদেরও কট্টর বামপন্থীদের ধর্ম-বিরোধী অ্যাজেন্ডা থেকে রক্ষা করব। আমরা আপনাদের স্বাধীনতার জন্য লড়ব। আমার প্রশাসনের অধীনে ভারত ও আমার ভাল বন্ধু নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও সুসম্পর্ক আরও মজবুত করব।'