বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টা নিজেই নাকি 'র এজেন্ট'। সম্প্রতি এমন অভিযোগ উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর এই অভিযোগ সামনে আসতেই এবার মুখ খুললেন সরকারে থাকা ছাত্র নেতা আসিফ মাহমুদ। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু 'কন্সপিরেসি থিওরি' ঘোরাফেরা করছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, আসিফ নজরুল আদতে ভারতের গুপ্তচর সংস্থা 'র'-এর হয়ে কাজ করছেন। এই নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের অপর উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। (আরও পড়ুন: '১৫ মিনিট...', 'কলকাতা দখলের' পালটা বাংলাদেশ দখলের হুমকি TMC-র মুসলিম নেতার!)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কব্জি কাটার হুমকি ত্বহা সিদ্দিকির গলায়, পাকিস্তান নিয়ে পীরজাদা বললেন…
গত কয়েক বছরে হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে আসিফ নজরুলের ভূমিকা তুলে ধরে আসিফ মাহমুদ লেখেন, 'যাকে ‘র’ এজেন্ট বলছেন, গত ২০১৯ সাল থেকে আগ্রাসনবিরোধী লড়াইয়ে সুশীল সমাজ কিংবা শিক্ষকদের মধ্যে থেকে তাঁকেই সবচেয়ে বেশি পাশে পেয়েছি আমরা। এনআরসি, সিএএবিরোধী আন্দোলন হোক, কি ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলন, আগ্রাসনবিরোধী কর্মসূচি থেকে যখন জেলে গেলাম সব সময় আসিফ স্যার আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।' এরপর আসিফ মাহমুদ আরও লেখেন, 'সমালোচনারও কিছু ধরন থাকা দরকার, যেটাকে গঠনমূলক সমালোচনা বলা হয় আরকি। এসব বিষয়ে কিছু বলতে চাইনি। কিন্তু ‘র এজেন্ট’ বলার পর আর চুপ থাকা গেল না।' আসিফ মাহমুদের দাবি, 'আপনাদের কন্সপিরেসি থিওরিতে অবশ্য আমাদের আন্দোলনও ‘র’ পরিচালিত ছিল। যে আন্দোলনে পরবর্তীতে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন হল। তবে আমরা যেন এবার একটু গঠনমূলক হই। না হলে এত ত্যাগের ফলে যে দেশ গড়ার স্বপ্ন আমরা দেখছি তা ভেঙে যাবে। এতটুকুই আহ্বান থাকবে।'
উল্লেখ্য, গত ২৯ নভেম্বর রাতে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি ইলিয়াস হোসেন তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে আসিফ নজরুলকে নিয়ে বিভিন্ন দাবি করেছিলেন। তা থেকেই পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, শেখ হাসিনার বিচারকে বিলম্বিত করার অ্যাজেন্ডা নিয়ে মাঠে নেমেছেন আসিফ নজরুল। দাবি করা হচ্ছে, দুর্নীতিগ্রস্ত বিচারপতিদের বহাল রেখেছেন তিনি। এছাড়া ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধন করেছেন তিনি। এই সব করে আদতে পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত আওয়ামি লিগ এবং সেই দলের ধৃত নেতারা যাতে দোষী সাব্যস্ত না হন, সেটাই নাকি নিশ্চিত করতে চাইছেন আসিফ নজরুল। এদিকে বর্তমানে ইউনুসের সরকার বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস মুছতে তৎপর হয়েছে। আর সেই বঙ্গবন্ধুর ছবি নাকি নিজের অফিসে মাথার ওপরে টাঙিয়ে রাখেন আসিফ নজরুল। তবে এই সব অভিযোগের আবহে এবার তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন আসিফ মাহমুদ।