বিগত দিনে বাংলাদেশে বারংবার আক্রান্ত হয়েছেন সংখ্যালঘু হিন্দুরা। সেই অত্যাচার যেন থামার কোনও নামই নেই। এবার বাংলাদেশের ফরিদপুরে এক হিন্দু সাংবাদিকের বাবা-মাকে ধারাল অস্ত্রের কোপ দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, আক্রান্ত বৃদ্ধ নিজে মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, আক্রান্তদের নাম - শ্যামলেন্দু বসু (বয়স ৬৮ বছর), কাকলী বসু (বয়স ৬০ বছর)। এরই পাশাপাশি শ্যামলেন্দুবাবুর বাড়িতে থাকা এক নাবালিকা তরুণীও আহত হয়েছে এই হামলায়। জানা গিয়েছে, শ্যামলেন্দুবাবুর ছেলে সৌগত বসু একজন সাংবাদিক। তিনি ঢাকায় থাকেন। (আরও পড়ুন: 'দলে দু'রকম মত…', মমতার মন্ত্রীর অকপট স্বীকারোক্তিতে চরমে জল্পনা)
জানা গিয়েছে, ফরিদপুরের মধুখালি উপজেলার মাইন গ্রামে থাকেন শ্যামলেন্দু বসু এবং কাকলীদেবী। সেখানেই গতকাল রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ হামলা চালানো হয়। হামলার সময় শ্যামলেন্দু বসু এবং কাকলী বসুর চিৎকারে এলাকাবাসীরা সেখানে জড়ো হন। এরপরই দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এরপর জখম তিনজনকে নিয়ে যাওয়া হয় মধুখালি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে। তবে সেখানে তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবতনি হতে থাকে। এর জেরে তাঁদের ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন তাঁরা। তবে শ্যামলেন্দু বসুর শারীরি অবস্থার উন্নতি ঘটেনি।
এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, হামলাকারীরা শ্যামলেন্দুবাবুর বাড়িতে চুরি করতে গিয়েছিল। সেই সময় দুষ্কৃতীদের দেখে চেঁচামেচি শুরু করেন বাড়ির কর্তা। চিৎকার শুরু করেন কাকলী বসুও। এই আবহে তাঁদের চুপ করাতেই নাকি দুষ্কৃতীরা ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায় দু'জনকে। এই আবহে ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জীবন কুমার মন্ডল জানান, দুষ্কৃতী হামলায় অজ্ঞান হে পড়েছিলেন শ্যামলেন্দু এবং কাকলী বসু। এহেন পরিস্থিতিতে প্রতিবেশীরাই তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এদিকে হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের চিকিৎসক অর্ণব জানান, শ্যামলেন্দু বসুর মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। তাঁর মাথার হাড় ভেঙে গিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হতে পারে। এদিকে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিয়েছেন। তিনি জানান, পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে সাংবাদিক সৌগত জানান, গ্রামে তাঁদের কোনও শত্রু নেই। তাঁর কথায়, 'আমার বাবা-মা ছাড়া কেউ বাড়িতে থাকে না। আমার মা আগে থেকেই অসুস্থ।' হামলা নিয়ে কোনও কথা তিনি বলতে পারেননি।