কলকাতাতে মাথাচাড়া দিয়েছে ডেঙ্গি। তবে ভারতের পাশের দেশ বাংলাদেশেও ডেঙ্গির প্রকোপ ভয়াবহ। শুরু হয়েছে মৃত্যু মিছিল। চলতি বছরের একেবারে প্রথম থেকে বাংলাদেশে অন্তত ১০০০ জনের মৃত্য়ু হয়েছে বলে খবর। রবিবার রাতে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে সব মিলিয়ে ১০০৬জন ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন। আর ২,০০,০০০ জন আক্রান্ত। সব মিলিয়ে একেবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি বাংলাদেশে। মশাবাহিত এই রোগের প্রকোপ কার্যত একের পর এক প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। আতঙ্ক ক্রমেই মাথাচাড়া দিচ্ছে।
ঢাকা ট্রিবিউনের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রবিবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টার হিসেব বলছে, আরও ১৭জনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে।
এডিস মশা তাড়িয়ে বাংলাদেশ থেকে ডেঙ্গিকে সমূলে বিনাশ করাটাই এখন সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে সরকারি প্রতিনিধির দাবি, কর্পোরেশন বা একা সরকারের পক্ষে ডেঙ্গি বিতাড়ন করা সম্ভব নয়। এজন্য সাধারণ মানুষের সহযোগিতা, তাদের সচেতনা প্রয়োজন।
এপি সূত্রে গত মাসে জানা গিয়েছিল, ঢাকার বাইরে যে শহর রয়েছে সেখানে চিকিৎসক, নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়াটা অত্যন্ত দরকার। ডেঙ্গি রোগীদের কীভাবে চিকিৎসা করতে হয় সেব্যাপারে তাঁদের প্রশিক্ষণ থাকা দরকার।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মশাবাহিত রোগ নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিল। হু এর তরফে বলা হয়েছিল, চিকুনগুনিয়া, জিকার মতো রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গেই এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
মশার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ডেঙ্গি। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য়েই ডেঙ্গির প্রকোপ রয়েছে। এবার প্রতিবেশী বাংলাদেশেও ভয়াবহ পরিস্থিতি। ডেঙ্গিতে জ্বর, মাথাব্যাথা, বমি, গায়ে হাতে পায়ে যন্ত্রণার মতো সমস্যা হতে পারে। বহু ক্ষেত্রে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর ঘটনাও হয়। ২০২২ সালে অন্তত ২৮১জনের মৃত্যু হয়েছিল মশাবাহিত এই রোগে।
তবে যেভাবে বাংলাদেশে ডেঙ্গি রোগের প্রকোপ তাতে মারাত্মকভাবে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে সব মিলিয়ে ১০০৬জন ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন। আর ২,০০,০০০ জন আক্রান্ত।