বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক সম্পর্ক নিয়ে কিছুদিন আগে ইউনুস সরকারের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক পাল্টেছে। এবার এই বক্তব্য অনুযায়ী, ‘পাল্টে যাওয়া’ সম্পর্ক ঘিরে সেদেশের সঙ্গে ভারতের অবস্থানের প্রেক্ষিতে নানান প্রশ্ন উঠছে। এই দুই দেশের সাম্প্রতিক সম্পর্ক কি প্রভাব ফেলবে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে? মুখ খুললেন বাংলাদেশের অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
ঢাকায় বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক ছিল। বৈঠক শেষ হতেই সেদেশের অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। সালেহউদ্দিন বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের টানাপোড়েনের যে পরিস্থিতি চলছে, সেটি রাজনৈতিক, তার প্রভাব দুই দেশের বাণিজ্যে পড়বে না। এমনই দাবি করেছে বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, তিনি বলেন, 'ব্যবসায়ীরা যাঁরা পণ্য বিক্রি করেন, তাঁরা রাজনীতিবিদদের বক্তব্যে বিভ্রান্ত হন না। তাঁরা পণ্য বিক্রি করেন।' তিনি জানান, যেখানে লাভ ভালো, যেখানে বাণিজ্যিক আগ্রহ রয়েছে, সেখানে সেখানেই পণ্য বিক্রি করেন রপ্তানিকারকরা, সেটা আমাদের কাছেও হতে পারে, বা অন্য কারোর কাছে। তাঁকে বাজারের স্থিতাবস্থা নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। তিনি জানান, বাজারে এর জেরে কোনও অস্থিরবস্থা তৈরি হবে না, বরং সরকার সমস্ত রকমের ব্যবস্থা নিচ্ছে, যাতে পণ্যের যোগান মসৃণ থাকে। তিনি বলেন, ‘ রমজানে বাজির স্থিতিশীল থাকবে। আর আমরা যোগান বাড়াতে পদক্ষেপ করছি।’ বাংলাদেশের আর্থিক উপদেষ্টা জানান, ভারত, ভিয়েৎনামের কাছ থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে। তবে বিশ্ববাজারে সোয়াবিনের দাম বেড়েছে। ফলে বাজারে তার যোগান নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে।
বাংলাদেশের ভোজ্যতেলের দাম হু হু করে বাড়ছে। সেই নিরিখে অর্থ উপদেষ্টা বলেন,' হ্যাঁ, দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।' তিনি ইস্যুটি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি সাপ্লাই চেইনের মধ্যে সিন্ডিকেট এবং মধ্যস্থতাকারীদের দায়ী করেছেন। উল্লেখ করেছেন যে কেউ কেউ বৈধ পরিষেবা প্রদান করলেও, চাঁদাবাজ সহ অন্যরা বাজারের কারসাজি করে।