বিশ্বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুস বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের মাথায় বসে। তবে তাঁর দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ। তা কার্যত মেনে নিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। পরিস্থিতি নাকি এমনই, সরকার ডায়ালাইসিস মেশিন কিনবে, নাকি জনস্বাস্থ্যে বিনিয়োগ করবে, সেটাই বুঝে উঠতে পারছে না। এই পরিস্থিতিকে 'উভয়সংকট' বলে আখ্যা দেন বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা। তিনি মন্তব্য করেন, 'বাংলাদেশ বর্তমানে যে নৈতিক উভয়সংকটে ভুগছে, তার জবাব অমর্ত্য সেন বা জন রলসের মতো অর্থনীতিবিদেরাও দিতে পারবেন না।' (আরও পড়ুন: 'পুরনো অসম মেলের রাস্তা খুলে যাবে...', 'বাংলাদেশ ভাগের ছকে' খুশি তথাগত রায়)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা দেওয়ার বেলায় '০', সেই পুলিশ ডাকাতি করতে গিয়ে ধৃত চট্টগ্রামে
বাংলাদেশি উপদেষ্টার দাবি, হাসিনা সরকারের আমলে যেসব প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে পদ্মা সেতুসহ বেশ কয়েকটি ভালো প্রকল্প আছে। কিন্তু ওই সব প্রকল্পের মধ্যে অনেকগুলোই প্রেস্টিজ প্রকল্প। বর্তমানে এই সব প্রকল্পের কী করা হবে, তা ভেবে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এরপর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বেহাল দশা নিয়ে তিনি বলেন, 'অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সম্পদের অভাব দেখা দিয়েছে। অনেক টাকা দেশের বাইরে পাচার হয়েছে। মানুষের টাকা ব্যাঙ্কে আছে কিন্তু ব্যাঙ্কের টাকা বাইরে চলে গিয়েছে। বেক্সিমকোর মতো বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কাছে খাতায় কলমে অনেক টাকা থাকলেও তা দেশে নেই।' (আরও পড়ুন: ৮৪'র দাঙ্গাকে 'গণহত্যা' আখ্যার প্রস্তাব, কানাডার সংসদে তারপর যা হল…)
আরও পড়ুন: উপাসনাস্থল আইনের বৈধতা নিয়ে শুনানি শুরু হবে সুপ্রিম কোর্টে, গঠিত বিশেষ বেঞ্চ
শেখ হাসিনার বিদায়ের পরে বাংলাদেশে গঠন হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সরকারের মাথায় বসেন নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস। তবে তিনি ক্ষমতায় আসার পরও বাংলাদেশের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেনি। এরই মাঝে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হিংসা বেড়েছে। বিভিন্ন দেশে সমালোচিত হচ্ছে ইউনুসের সরকার। যেই আমেরিকা প্রাথমিক ভাবে ইউনুসের 'অগণতান্ত্রিক' সরকারকে সাহায্য করার কথা বলেছিলেন, তারাও এখন নীরব। এই আবহে সম্প্রতি সর্বদল বৈঠক করেছিলেন ইউনুস। জল্পনা শুরু হয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে। এই জল্পনার মাঝেই অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ দাবি করেন, আগামী বছর নির্বাচিত সরকার দেখা যাবে। এর আগে অবশ্য গত ২৪ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছিল, আগামী নির্বাচন কবে হবে, তা প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হবে। এ নিয়ে বাকি যাঁরা কথা বলছেন, সেগুলো তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত।