এখনও তেমন ভয়াবহ পরিস্থিতি না হলেও গুটিগুটি পায়ে শ্রীলঙ্কা কিংবা পাকিস্তানের পথেই এগোচ্ছে বাংলাদেশ। ক্রমশ অর্থনীতি ডুবছে ওপার বাংলার। আর এই কারণেই সিঁদুরে মেঘ ঘনাচ্ছে, তৈরি হচ্ছে আশঙ্কা উদ্বেগের কারণ। ফোরেক্স রিজার্ভের পরিমাণের ক্রমশ কমতে কমতে বর্তমানে তলানিতে এসে ঠেকেছে। যার ফলে বাংলাদেশকে ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড অথবা আইএমএফের কাছে হাত পাততে হয়েছে।
একটা বিপুল অঙ্কের ঋণ নিতে চলেছে বাংলাদেশ। জানা গিয়েছে আইএমএফ ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ নেবে পড়শি দেশ। তবে এই যে ঋণ নেবে বাংলাদেশ সেটা নিয়ে নানান আলোচনা, মত উঠে আসছে। অনেক অর্থনীতিবিদের মতে এতে বাংলাদেশের উপকার তো হবেই না উল্টে আরও সংকটে তলিয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক এই সংস্থার ঋণ কোনও ভাবেই ওপার বাংলার ডুবন্ত অর্থনীতিকে ভাসিয়ে পাড়ে আনতে পারবে না। বরং সংকটের গভীরে নিয়ে যাবে ক্রমশ। কিন্তু বাংলাদেশ কার্যত বাধ্য হয়েই হাত পেতেছে, এটা ছাড়া আর পথ ছিল না বলেই জানানো হয়েছে পড়শি দেশের তরফে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের তরফে জানা গিয়েছে সেদেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় কমতে কমতে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তারা ডলার ধরে রাখতে নিজেদের বিখ্যাত বস্ত্রশিল্প থেকে উৎপন্ন অধিকাংশ জিনিসই কম দামে রফতানি করে দিতে বাধ্য হচ্ছে। দেশীয় জিনিস দেশে থাকছে না।
কিন্তু কেন এমন হাঁড়ির হাল হল বাংলাদেশের?
বাংলাদেশের ফোরেক্স রিজার্ভ বর্তমানে তলানিতে এসে ঠেকেছে, যেমনটা এর আগে শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, কিংবা পাকিস্তানের এখন যেমন অবস্থা বাংলাদেশও সেই দিকেই এগোচ্ছে।
ফোরেক্স রিজার্ভ কী?
এটা আদতে সঞ্চিত বৈদেশিক মুদ্রা যা একটি দেশের কাছে রয়েছে। এটি দেশের আর্থিক স্থিতাবস্থা মাপতে ব্যবহার করা হয়। আর এই ফোরেক্স রিজার্ভের ঘাটতি মানেই বিপদের সংকেত। বৈদেশিক মুদ্রা কমতে থাকা মানে সেই দেশ ক্রমশ দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পথে এগোচ্ছে বা হয়ে গিয়েছে।
এমন বিপদের সময় বাংলাদেশ সম্পূর্ণ ভাবে আইএমএফের উপর ভরসা রেখেছে। এখন এটাই দেখার বিষয় বিপদসঙ্কুল সমুদ্রের মাঝখান থেকে এই আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশের তরীকে সঠিক ভাবে তীরে আনতে পারে কি না!