বাংলাদেশের প্রাক্তন তথ্য় ও প্রযুক্তিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পালক। ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক করা হল তাঁকে। তিনি দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন। এদিকে বর্তমানে বাংলাদেশে সামরিক সরকার অন্তর্বর্তীকালীন সময় রয়েছে। তারা ওই মন্ত্রীকে আটকে দেয়। তবে তার আগেই ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
ওই মন্ত্রী এয়ারপোর্টের ভিআইপি লাউঞ্জে বসেছিলেন। সেই সময় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তাঁকে আটক করা হয়। তিনি ভারতে চলে আসার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু বিমানবন্দর থেকেই তাঁকে আটকানো হয়। এদিকে হাসিনাও ভারতে চলে এসেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে ইতিমধ্য়েই আওয়ামি লীগের একাধিক নেতার বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আওয়ামি লীগের পার্টি অফিসগুলিতেও চলছে লুঠপাট। এমনকী শেখ হাসিনার প্রয়াত পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মূর্তিও ভেঙে ফেলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির কাছে সেনা এয়ারবেসে শেখ হাসিনা আসেন। এদিকে তিনি লন্ডনে চলে যেতে চেয়েছিলেন বলে খবর। কিন্তু তা নিয়ে সরাসরি কিছু জানা যায়নি। তাঁর বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে কিছুটা ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। তবে ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, তাঁদের যে অভিবাসন সম্পর্কিত আইন আছে তাতে সাময়িকভাবে তাঁদের দেশে কোনও ব্যক্তি আশ্রয় নিতে পারেন না।
এদিকে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা, তাঁর বোন রেহানাকে নিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন। তাঁদের বিমান, সি ১৩০ ভারতের আকাশসীমায় আসতেই ভারতীয় বায়ুসেনা তৎপর হয়েছিল। কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য সেনা প্রস্তুত হতে শুরু করে। শেষমেশ ৫ অগস্ট ২০২৪ সোমবার হাসিনাকে নিয়ে বাংলাদেশের বিমান সি১৩০ ভারতে আসে। গাজিয়াবাদে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ারবেস হিন্ডোনে নামে বিমান। এদিকে, গদি হারানো শেখ হাসিনা ভারতে আসতেই ভারতের কূটনৈতিক মহলের তৎপরতা বেড়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আর রাজনীতিতে ফিরবেন না। এমনই জানালেন হাসিনার ছেলে সাজিব ওয়াজেদ জয়। বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে হাসিনার প্রাক্তন তথ্য ও গণজ্ঞাপন বিষয়ক উপদেষ্টা জানিয়েছেন যে তাঁর মা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না। কী কারণে তিনি সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটাও ব্যাখ্যা করেছেন জয়। তিনি বলেছেন, ‘যাবতীয় পরিশ্রমের পরেও গুটিকয়েক মানুষ যে তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছেন, সেটায় হতাশ তিনি।’
এদিকে বাংলাদেশ যখন উত্তাল তখন শেখ হাসিনা বলেছিলেন, এখন যারা নাশকতা করছে তারা কেউই ছাত্র নন। এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা সকলেই সন্ত্রাসী বলে উল্লেখ করেছিলেন শেখ হাসিনা। তৎকালীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে একটি বার্তায় এনিয়ে জানানো হয়েছিল। তবে সেই শেখ হাসিনাই দেশ ছেড়ে দিলেন।