বাংলাদেশে হদিশ মিলল করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের। কমপক্ষে ছ'জনের শরীরে সেই স্ট্রেনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তারপরই ভারতীয় স্থলসীমান্ত বন্ধের মেয়াদ কমপক্ষে ১৪ দিন বাড়িয়ে দিল বাংলাদেশ।
ভারতে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির জেরে গত ২৬ এপ্রিল পড়শি দেশের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল শেখ হাসিনার প্রশাসন। তার ফলে আজ (রবিবার) পর্যন্ত বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা থাকলেও সড়কপথে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করা যাবে না বলে জানানো হয়েছিল। সেই সময় বাংলাদেশের জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটির তরফে স্পষ্টভাবেই জানানো হয়েছিল, ভারতে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সীমান্ত খুলে দেওয়া হবে না।
তবে সংক্রমণ বন্ধের আশঙ্কায় খাতায়-কলমে স্থলসীমান্তে বন্ধ করলেও একাধিক আধিকারিক দাবি করেছেন, চোখে ধুলো দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার খবর মিলেছে। অনেকেই বাধ্যতামূলক নিভৃতবাসের বিধিনিষেধও ভেঙেছেন। তার ফলে উদ্বেগ ছিল। সেই উদ্বেগ বাড়িয়ে বাংলাদেশে ছ'জনের দেহে করোনার ভারতীয় স্ট্রেনের (বি.১.৬১৭) হদিশ মিলেছে। যাঁরা সম্প্রতি ভারত থেকে ফিরেছিলেন। আপাতত তাঁদের নিভৃতবাসে রাখা হয়েছে। ডিরেক্টরেট অফ হেলফ সার্ভিসের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম মুন্না জানিয়েছেন, রাজধানী ঢাকায় দু'জনের শরীরে ভারতীয় স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত ছ'জনের শরীরে ভারতীয় স্ট্রেন মিলেছে। আগামিদিনে আরও কয়েকজনের দেহে একইরকম স্ট্রেনের ভাইরাস মিলবে বলে আমাদের ধারণা।’
সেই পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত বন্ধের মেয়াদ আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ‘করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত বন্ধের মেয়াদ আরও ১৪ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ তবে আগের মতোই সড়কপথে পণ্য পরিবহন চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র।