পদ্মা সেতুকে ঘিরে বাংলাদেশের মানুষের উচ্ছাস প্রবল। আগামী ২৫ জুন হতে চলেছে এই সেতুর উদ্বোধন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সারাদেশে এক উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কিন্তু এই সেতুর নির্মাণ নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। সেই বিতর্কগুলির মধ্যে একটি হল, এই সেতুর নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সাহায্য এসেছে বিদেশ থেকে। এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র দফতর একটি বিবৃতি জারি করেছে।
বাংলাদেশ পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, কিছু কিছু মহল থেকে বলা হচ্ছে, এই সেতু নির্মাণ নাকি চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এর অংশ। যদিও সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই কথা মোটেই সত্যি নয়। এতে কোনও বৈদেশিক বিনিয়োগ নেই।
বাংলাদেশ সরকার খুব স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, এই সেতু নির্মাণের সমস্ত ব্যয়ভার সরকারই বহন করেছে। বেশ কিছু দেশি ও বিদেশি সংস্থা এই সেতু নির্মাণে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিল।
সেতু নির্মাণের পর দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিম অংশে যোগাযোগ এক অন্য মাত্রা পাবে। সারা দেশের আঞ্চলিক যোগাযোগ ও ব্যবসা বানিজ্যে এক সুদূরপ্রসারী পরিবর্তন আসবে। বাংলাদেশ সরকার আশা করে, বাংলাদেশের সকল বন্ধুরাষ্ট্র এই সেতুর উদ্বোধনকে স্বাগত জানাবে।
দ্বিতল বিশিষ্ট পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সর্ববৃহত সেতু। সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য৬.১৫ কিলোমিটার। সেতুটি দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিমের ১৯টি জেলাকে সরাসরি যুক্ত করবে।আগামী ২৫ জুন, উদ্বোধনের পর যানবাহন চলাচল আরম্ভ হবে। অদূর ভবিষ্যতে রেল চলাচলও শুরু হবে।