দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাংলাদেশের জেল থেকে মুক্ত হয়েছেন, সেদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টু। ২০০৪ সালে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেনেড হামলা কাণ্ডে অভিযুক্তের তালিকায় ছিলেন বাংলাদেশের এই প্রাক্তন মন্ত্রী। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে হুজি জঙ্গিদের সহায়তার বিস্ফোরক অভিযোগ। সেই আবদুস সালাম পিন্টু এদিন বেরিয়ে এলেন বাংলাদেশের জেল থেকে।
বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’ বলছে, আবদুস সালামের জামিনের কাগজপত্র বাংলাদেশের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট ২- তে পৌঁছলে তা যাচাই করা হয়। যাচাই শেষে দেখা যায়, অন্য কোনও মামলায় আটকাদেশ নেই সালামের বিরুদ্ধে, ফলে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। রিপোর্ট বলছে, কাশীপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট ২-র জেল সুপার মামুন জানিয়েছেন, আবদুল সালামের বিরুদ্ধে নতুন কোনও মামলার ওয়ারেন্ট নেই। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলার মামলায় এদিন খালাস পেয়েছেন বাংলাদেশের এই প্রাক্তন মন্ত্রী। তিনি ওই মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। জানা যাচ্ছে, ২০০৪ সালে আওয়ামি লিগের এক সভায় গ্রেনেড হামলার ঘটনায় তিনি ছিলেন অভিযুক্তের তালিকায়। রিপোর্ট দাবি করছে, সেবার শেখ হাসিনার ওপর হামলার ছক করার অভিযোগ ছিল সালামের বিরুদ্ধে।
এছাড়াও আরও এক বিস্ফোরক অভিযোগ রয়েছে সালামের বিরুদ্ধে। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ও বাংলাদেশে জঙ্গিদের সাহায্য করেছেন বলে সালামের বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগ। পাকিস্তানের হরকত-উল-জিহাদ-আল-ইসলামি বা হুজি জঙ্গিদের মদতের অভিযোগ রয়েছে পিন্টুর বিরুদ্ধে। বেশ কিছু মিডিয়া রিপোর্টের দাবি, হুজি জঙ্গিদের অস্ত্র দেওয়া, পিওকেতে তাদের ট্রেনিং, নিয়োগ সহ নানান ঘটনায় অভিযুক্ত আবদুস সালাম পিন্টু। হুজির প্রশিক্ষিতদের বিস্ফোরক, অস্ত্র দিয়ে সাহায্যের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের হুজি জঙ্গিদের বহু ডেরা রয়েছে। ‘ইন্ডিয়া টুডে’র রিপোর্ট বলছে, বাংলাদেশ ছাড়াও তাদের ডেরা রয়েছে নিউজিল্যান্ড, ইজরায়েল, ইউকে, আমেরিকার মতো দেশে।
ঢাকায় ২০০৮ সাল থেকে কারাবন্দি আবদুসকে ঢাকার হাইকোর্ট মুক্তি দিয়েছে। উল্লেখ্য, পিন্টু ছাড়াও ওই গ্রেনেড হামলার কেসে আসামির তালিকায় ছিলেন আরও এক বিএনপি নেতা। তিনি লুৎফুজ্জামান বাবর। তাঁকে গত সপ্তাহে চট্টোগ্রাম ট্রাক বোঝাই অস্ত্র মামলায় খালাস দেওয়া হয়।