বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ্জামানকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি করা বা সেনা বাহিনীকে জনগণের মুখে দাঁড় করানোর অভিযোগ তুললেন বাংলাদেশের গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। দুই ছাত্রনেতা সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লার সঙ্গে সেদেশের সেনা প্রধানের সাক্ষাৎ ঘিরে কার্যত প্রশ্ন-বোমা ছুড়ে দিলেন নুর। নুরের প্রশ্ন এর নেপথ্যে কি কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে? তাঁর দাবি, বাংলাদেশে কিছু রাজনৈতিক দল এবং সদ্য গঠিত সংগঠনের বক্তব্য সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করছে।
এদিকে, বাংলাদেশের সেনা প্রধান ওয়াকার উজ্জাজামানের সঙ্গে সারজিস ও হাসনাতের সাক্ষাৎ ঘিরে তুঙ্গে পারদ চড়েছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে। এই বৈঠক ইস্যুতে হাসনতের বক্তব্যের পর সারজিসের ভিন্ন সুরে মুখ পুড়েছে তাঁদের নবগঠিত দলের। ইতিমধ্যেই হাসনাতের বক্তব্যকে অপরিপক্ক বলে বর্ণনা করেছে বাংলাদেশের সেনা সদর। তারপর মুখ খোলেন সারজিস। আর তাঁদের দুজনের ভিন্ন বক্তব্য সামনে আসতেই জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ নেতা নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি ক্ষমা চেয়েছেন। এরই মাঝে প্রশ্নে বড় বোমা ফাটালেন গণ অধিকার পরিষদের নুর। নুরুল নুর এদিন, বাংলাদেশে বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক প্রেসকনফারেন্সে অভিযোগ তোলেন, দেশে নতুনভাবে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা হচ্ছে। বর্তমানে সেদেশে নির্বাচিত সরকার না থাকায় সেই খালি জায়গার সুযোগ নিতেই অনেকে জটিল পরিস্থিতি তৈরি করছেন বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। গণ অধিকার পরিষদের নুরুল নূর বলেন,' জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারা যখন সেনাবাহিনীর দোহাই দিয়ে আওয়ামি লিগকে নতুন করে পুনর্বাসনের কথা বলেন, তখন জনগণের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়।' এরইসঙ্গে তিনি বলেন,' তবে আমরা জানতে পেরেছি ছাত্রনেতারাই সেনাপ্রধানের সঙ্গে মিটিং করতে সেনা সদরে গিয়েছিলেন। সেনাপ্রধান তাঁদের ডাকেননি।আমি মনে করি, জাতীয় নাগরিক কমিটির উচিত ওই দুই ছাত্রনেতা কেন সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন, সেখানে কী আলোচনা হয়েছিল—তা তদন্ত করে জাতির সামনে তুলে ধরা উচিত।'
উল্লেখ্য, তিনি উল্লেখ করেন, ৫ অগস্ট হাসিনা সরকারের অভ্যুত্থানে সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান গুরুত্বপূর্ম পদক্ষেপ নেন। উল্লেখ্য, সম্পর্কে শেখ হাসিনার আত্মীয় বাংলাদেশের সেনা প্রধান ওয়াকার উজ্জামান। নুরুল নুর তাঁকে ঘিরে বলছেন, সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানও কিন্তু শেখ হাসিনার আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও শেখ হাসিনাকে ৪ আগস্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী, আপনাকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। নুরুল নুরের দাবি, সেনাবাহিনীকে টার্গেট করে সদ্য আসা মন্তব্য, ‘সম্পূর্ণভাবে উদ্দেশ্যমূলক ও অভিসন্ধিমূলক’।