গত বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় ঐক্যমত কমিশন গঠন করার কথা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। সেইমতোই ঐক্যমত কমিশন গঠন করল সরকার। মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে ৭ সদস্য নিয়ে এই কমিশন গঠন করা হয়েছে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করবে কমিশন। বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর লক্ষ্য হল গুরুত্বপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের জন্য ঐকমত্য তৈরি করা।
আরও পড়ুন: ২ বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হওয়া যাবে না, সংসদের মেয়াদ ৪ বছর, প্রস্তাব বাংলাদেশে
বুধবার মন্ত্রিপরিষদের সচিব শেখ আবদুর রশিদের স্বাক্ষর করা এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে সাংবিধানিক সংস্কার কমিশনের প্রধান আলি রিয়াজকে। কমিশনের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের প্রধান মহম্মদ এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।
বিজ্ঞপ্তি অনুয়ায়ী, কমিশন আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচনী ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান এবং দুর্নীতি দমন তদারকি সংস্থা সংস্কারের জন্য তৈরি হওয়া প্যানেলগুলির সুপারিশ পর্যালোচনা করবে। এরজন্য জাতীয় ঐকমত্য গঠন করতে রাজনৈতিক দল এবং অন্যান্য সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করবে। কমিশনের ৬ মাসের মেয়াদ আগামীকাল ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় কমিশনকে সহায়তা করবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আগে বলেছিলেন, কমিশন ৬টি সংস্কার কমিশনের সম্পূর্ণ প্রতিবেদন সম্পর্কে রাজনৈতিক দল এবং দেশের নাগরিক সমাজের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবে। দ্রুতই সংস্কারের পরিমাণ কত এবং পরবর্তীতে কী করা যেতে পারে? তা রাজনৈতিক দল এবং কমিশনের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সরকার ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ প্রণয়ন করবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বর বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় নতুন একটি কমিশন গঠন করার কথা জানিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেছিলেন, জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন প্রতিষ্ঠার দিকে অগ্রসর হচ্ছে সরকার। এই কমিশনের কাজ হবে রাজনৈতিক দলসহ সব পক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করা। যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে সেগুলি চিহ্নিত করে বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ করবে এই কমিশন।