বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় ভারত নিজেদের জমিতে কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলেও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের বাধার মুখে পড়েছে। এই আবহে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী এবার হুঁশিয়ারি দিলেন, ভারত কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলে বাধা দেওয়া হবে। তাঁর বক্তব্য, ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে চারটি সমঝোতা স্মারক সই করেছিল বাংলাদেশ। সেই মতো নাতি নো ম্যানস ল্যান্ডের থেকে ১৫০ গজ ভিতরেই কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া যায়। আবার এরপরই জাহাঙ্গির আলম দাবি করেন, আওয়ামি লিগ জমানার সীমান্ত চুক্তি বাতিল করা হবে। এদিকে সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে বাংলাদেশের হাইকমিশনার প্রণয় ভর্মাকে তলব করা হবে বলে দাবি করেন জাহাঙ্গির। (আরও পড়ুন: 'বাবা-মাকে এপারে আনতাম',জাল নথি দিয়ে পাসপোর্ট করাতে গিয়ে ধৃত বাংলাদেশি হিন্দু)
আরও পড়ুন: ভ্যাটের চাপে চ্যাপ্টা বাংলাদেশ! কীসের দাম বাড়ল কত? ইউনুস সরকারের পকেটে ঢুকবে কত
এর আগে সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবরামপুরে বিএসএফ-কে কাঁটাতার দিতে বাধা দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, শিবরামপুর এলাকায় কয়েক’শ মিটার উন্মুক্ত। সেখানে সীমান্তের পাশেই একটি ভারতীয় গ্রাম রয়েছে। সেখানও কোনও কাঁটাতার নেই। এই আবহে উন্মুক্ত সীমান্ত এবং সেই গ্রামের আশেপাশে কাঁটাতার দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেয় বিএসএফ। তবে সেই কাজ শুরু হতেই বন্ধ করেছিল বিজিবি। (আরও পড়ুন: '...অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ', ইউনুসের 'কিপটে' বাংলাদেশ আসবে না 'অখণ্ড ভারতে')
আরও পড়ুন: মাসের পর মাস ৮ ভারতীয়র মৃতদেহ পড়ে বাংলাদেশি হাসপাতালের হিমঘরে
এদিকে সম্প্রতি এবিপি আনন্দে মালদা বৈষ্ণবনগরের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া হলে নাকি বিজিবি গুলি করবে বলে হুমকি দিয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটেছিল মালদার বৈষ্ণবনগরের সুকদেবপুর সীমান্তে। রিপোর্টে দাবি করা হয়, সেই এলাকায় যে অংশটা খোলা আছে, সেটা কাঁটাতার বসানোর তোড়জোড় শুরু করা হয়। কিন্তু কাঁটাতারের বেড়া বসানোর জন্য সেখানে গর্ত খোঁড়ার কাজ শুরু করতেই বিজিবির বিরুদ্ধে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে তৈরি হয় উত্তেজনা। পরবর্তীতে বুধবার ফের কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু তখনও বিজিবির তরফে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে মহদিপুর বর্ডার আউট পোস্টে ভারতের সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএসএফ এবং বাংলাদেশের বিজিবির মধ্যে বৈঠক হয়। (আরও পড়ুন: যানজটের নিরিখে বিশ্বের দ্বিতীয় ধীরতম শহর কলকাতা, তৃতীয় স্থানে বেঙ্গালুরু)
এই সবের মাঝেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কোদালিয়া নদীর অংশে ৫ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে বিবাদ দেখা দিয়েছে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে। এই নিয়ে বিএসএফ-এর বক্তব্য ছিল, 'যে এলাকা নিয়ে এত চর্চা, সেটা ভারতীয় দিকে আছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার রানাঘাটের বাগদা ব্লকে এই এলাকা অবস্থিত। এখানে কোদালিয়া নদীর সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আছে। সীমান্তের দু'দিকেই রেফারেন্স পিলারের দ্বারা এটা চিহ্নিত করা হয়েছে। বিগত কয়েক দশক ধরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফের ভূমিকা অপরিবর্তিত থেকেছে। ভারতের এক ইঞ্চি জমিও কেউ নিতে পারেনি। বিএসএফ এবং বিজিবি শান্তিপূর্ণ ভাবেই নিজেদের দিকে দায়িত্ব পালন করছে। ১৯৭৫ সালের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নির্দেশিকা মেনে চলা হচ্ছে।'