প্রতি বছর দুর্গাপুজোর আগে বাংলাদেশ পদ্মার ইলিশ পাঠায় পশ্চিমবঙ্গে। এই রীতি চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে এবার রীতি মেনে ভারতে যে ইলিশ রফতানি করবে না বাংলাদেশ, সেই ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। আর এবার তাতে সিলমোহর পড়ল। পদ্মার ইলিশ ভারতে রফতানি করা নিয়ে নিয়ে ব্যবসায়ীদের আবেদন খারিজ করল বাংলাদেশের অন্তর্বতীকালীন সরকার।
আরও পড়ুন: এপার বাংলায় ইলিশ পাঠান, বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি, পুজোয় মিলবে পদ্মার রুপোলি শস্য়?
প্রতি বছর ইলিশ ব্যবসার জন্য বাংলাদেশি মাছ রফতানিকারকদের সঙ্গে সমন্বয়কারী সংস্থা বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দিয়ে রফতানির জন্য অনুমতি নিয়ে থাকেন। প্রতিবারের মতো এবারও গত ৯ অগস্ট বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনকে চিঠি দিয়ে সংস্থাটি অনুরোধ করে যে, আগের বছরের মতোই এবারও ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়া হোক।
তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রকের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে এই আর্জি প্রত্যাখ্যান করেছেন। ঢাকা থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, আখতার বাণিজ্য মন্ত্রকে এ বছর ইলিশ রফতানি না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ জানিয়েছেন, এবার ভোজনরসিক বাঙালির পাতে পড়বে না পদ্মার ইলিশ। তাছাড়া, ডিম পাড়ার কারণে ২২ দিনের ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মাকসুদ বলেন, ‘আগে আমরা পেট্রাপোল ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বছরে প্রায় ৫ হাজার টন ইলিশ আমদানি করতাম। বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে এই বাণিজ্য নিষিদ্ধ করেছিল। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সরকার শুধুমাত্র দুর্গাপুজোর সময় ইলিশের ব্যবসার অনুমতি দিয়েছিল একটি শুভেচ্ছার অংশ হিসেবে।’
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে ভারতে ১৩০০ টন ইলিশ রফতানি করে বাংলাদেশ। যা ২০২২ সালের মতোই ছিল। ২০২১ সালে ১২০০ টন ইলিশ রফতানি করা হয়েছিল। মাকসুদ উল্লেখ করেন, যে তিন বছরেই আমদানির পরিমাণ বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদনের চেয়ে কম ছিল। তবে এবার সরকারের বাংলাদেশের ইলিশ ত্রিপুরার সীমান্ত দিয়ে পাচার করা হচ্ছে এবং কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে মায়ানমার এবং গুজরাটের ইলিশ।