সম্প্রতি ঢাকা সফরে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। সেখানে গিয়ে বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মহম্মদ জসিমউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন বিক্রম। এরপর দেশে ফিরে এসে বিদেশ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সামনে মুখ খোলেন বিক্রম। সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতে বসে শেখ হাসিনা যে সব রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন, তা পছন্দ করছে না ভারত। আর এই আবহে এবার মুখ খুললেন বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তাঁর কথায়, 'আমরা আশা করি, যথাসময়ে বাংলাদেশের সাথে ভারতের যে বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে, সেই চুক্তি অনুযায়ী ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে।' (আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন বাইডেন: হোয়াইট হাউজ)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি হিন্দুদের নিয়ে সংসদে প্রশ্ন ওয়াইসির, জবাবে জয়শংকর শোনালেন 'আশার কথা'
আরও পড়ুন: বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাংলাদেশিদের খোঁজ পুলিশের! একদিনেই চিহ্নিত ২০ অনুপ্রবেশকারী
এই নিয়ে আসিফ বলেন, 'ভারতের বিদেশ সচিব যখন বাংলাদেশে এসেছেন, তখন তাঁকে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে এটা বলা হয়েছে - শেখ হাসিনা একজন গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট। তাঁর এই মুহূর্তে বিচার হওয়ার কথা, তাঁর এখন জেলে থাকার কথা। কিন্তু তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। এবং সেখান থেকেই তিনি বিভিন্ন কর্মসূচি, বিভিন্ন বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা আশা করি এই ধরনের আর কোনও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে ভারত তাঁকে বাধা দেবে।' (আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশি পাগল... লুঙ্গির পিছনে আগুন', আরাকান আর্মি নিয়ে বিস্ফোরক তথাগত)
আরও পড়ুন: হাতছাড়া হবে ফেনি? কলকাতা দখলের ডাক দেওয়া বাংলাদেশ এখন নিজেই আতঙ্কে কাঁপছে!
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে 'কুকুর' আখ্যা দিলীপ ঘোষের! বললেন - 'ভিখিরিদের আশ্রয় ফুটপাতে'
উল্লেখ্য, গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সেই থেকে এখানেই আছেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে ভারত থেকে তাঁর কোনও বক্তব্য শোনা যায়নি সেভাবে। তাঁর হয়ে ছেলে ওয়াজেদ সজীব জয় বক্তব্য পেশ করছিলেন। তবে বিগত দিনে শেখ হাসিনা রাজনৈতিক বিবৃতি দিচ্ছেন ভারতে বসেই। ঢাকায় থাকা ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে তিনি সরব হয়েছেন বিভিন্ন ইস্যুতে। আর এই বিষয়টি নাকি ভারত সরকার পছন্দ করছে না। সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটিকে এমনটাই জানালেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। বিক্রমের কথায়, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কোনও একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্কের ওপর বেশি জোর রয়েছে ভারতের। (আরও পড়ুন: সেন্ট মার্টিনের ঘুম উড়িয়েছে আরাকান আর্মি, বাংলাদেশে বাড়বে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ?)
আরও পড়ুন: ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ কতটা জানেন? কী হাল পাকিস্তানের?
বিক্রম মিশ্রি জানান, শেখ হাসিনা নিজের ব্যক্তিগত কমিউনিকেশনস ডিভাইস ব্যবহার করে রাজনৈতিক মন্তব্য করেছেন। ভারত সরকার কোনও ভাবে সেই সব মন্তব্যের সঙ্গে যুক্ত নয় বা সেই সব মন্তব্য করার জন্যে কোনও প্ল্যাটফর্মও ভারত সরকার তাঁকে দেয়নি। এদিকে বিক্রম জানান, ঢাকা সফরের সময় বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন তিনি। দিল্লি যে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন, তা স্পষ্ট করে ঢাকাকে জানিয়েছেন বিক্রম। এই আবহে বাংলাদেশ সরকার যে হিন্দুদের ওপর হামলার সব ঘটনা স্বীকার করছে না, তা নিয়ে ভারত সরকার এখনও চিন্তিত। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশ সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেটির প্রশংসা করেন বিক্রম।