বাংলাদেশে নতুন করে হিংসা শুরু হতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বর্তমানে যারা হিংসা ছড়াচ্ছে, তারা ছাত্র নয়, জঙ্গি। এই আবহে রিপোর্টে দাবি করা হল, হাসিনা সরকার নাকি দিল্লিকে জানিয়েছে, এই আন্দোলনের নেপথ্যে এখন লকাঠি নাড়ছে জামাতের নিষিদ্ধ ছাত্র সংঘঠন। এবং ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তানের হাইকমিশন থেকে মদত পাচ্ছে তারা। এই আবহে আবার ভারত সরকারও সতর্ক রয়েছে। এদিকে ভারতীয়দের আপাতত বাংলাদেশে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে দিল্লি। এই আবহে সোমবার বাংলাদেশে 'মার্চ টু ঢাকা' কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের তরফ থেকে। (আরও পড়ুন: যুগের সবচেয়ে বড় দাঙ্গা ব্রিটেনে, অভিবাসী-বিরোধী বিক্ষোভে আগুন জ্বলল বহু শহরে)
আরও পড়ুন: 'লোকসভা ভোটের ফলকে নাকচের ছক, চলছে অপপ্রচার', বিস্ফোরক রিপোর্ট নিয়ে দাবি কমিশনের
আরও পড়ুন: জাপানের শেয়ার বাজারে সুনামি, মাত্র ৩ দিনে ১৬% 'ডুব' সূচকে, কাঁপল ভারতও
এদিকে বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, আওয়ামি লিগ, ছাত্রলিগের নেতাকর্মীদের ওপরে জায়গায় জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে। অন্তত ১৪টি জায়গায় মন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দলের সাংসদদের ওপরে হামলা হয়েছে। দেশি জুড়ে আওয়ামি লিগের অন্তত ২০টি কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ৩৯টি জেলায় শাসকলদল আওয়ামি লিগ আক্রান্ত হয়েছে বিক্ষোভকারীদের হামলায়। জানা গিয়েছে, চাঁদপুরে সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনির বাসায়, বরিশালে জলসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, দিনাজপুরে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের বাসভবনে ভাঙচুর করা হয় ও আগুন ধরিয়ে দেওয়াহ হয়। বাংলাদেশ জুড়ে আওয়মি লিগ এবং ছাত্রলিগের ১৮ জন সদস্যকে খুন করা হয়েছে। এদিকে সংঘর্ষে বিরোধী দল বিএনপি-র একজনের মৃত্যু হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার বাংলাদেশের ১১টি জেলায় সরকারি ভবন, থানা, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে। বাংলাদেশ জুড়ে অন্তত ১৪ জন পুলিশকর্মীকে পিটিয়ে খুন করেছে বিক্ষোভকারীরা। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জেই ১৩ জন পুলিশকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। একজন পুলিশকর্মীকে হত্যা করা হয় কুমিল্লায়। ঢাকার যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁওসহ ১৫টি থানা, ১টি রেঞ্জ কার্যালয়, ৪টি জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় এবং ২টি পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালানো হয় বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। গতকালকের ঘটনায় পুলিশের ৩০০-র অধিক কর্মী জখম হয়েছেন।
এছাড়া গতকালকের সংঘর্ষে মৃতদের মধ্যে ৯ জন পড়ুয়া, একজন সাংবাদিকও আছেন বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ঢাকায় গতলাক সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে রক্তাক্ত রবিবারে কমপক্ষে ৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে প্রথম আলোর রিপোর্টে। এর আগে প্রথম দফায় যে চার-পাঁচদিন বাংলাদেশে হিংসা ছড়িয়েছিল, তখন ২১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে সরকার বিরোধী আন্দোলনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩১৬।