বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বহুদিন ধরে জেলবন্দি সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভু। এবার তাঁর জামিনের প্রশ্নে রুল জারি করে জবাব চাওয়া হয়েছে বাংলাদেশের হাইকোর্টের তরফে। বাংলাদেশের হাইকোর্টের প্রশ্ন, কেন জামিন দেওয়া হবে না চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে? তার জবাব হাইকোর্ট চেয়েছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপক্ষের কাছ থেকে।
বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরে জেলবন্দি চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের শুনানি এদিন হয়েছে বিচারপতি মহম্মদ আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মহম্মদ আলি রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে। সেই বেঞ্চই চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের প্রশ্নে রুল জারি করেছে। এই রুলের জবাব বাংলাদেশের রাষ্ট্রপক্ষকে ২ সপ্তাহের মধ্যে দিতে হবে বলে ডেডলাইনও সেট করে দিয়েছে কোর্ট। 'প্রথম আলো' র খবর অনুযায়ী, আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘ওই মামলায় আবেদনকারীকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।’ উল্লেখ্য, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ গত ২ জানুয়ারি চিন্ময় প্রভুর দামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপর আইনি পথে হাইকোর্টে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে গত ১২ জানুয়ারি আবেদনটি করেন চিন্ময় প্রভু। সেই আবেদনের শুনানিতে আজ মঙ্গলবার এই রুল দিয়েছে আদালত। স্বভাবতই এই রুল সামনে আসায় বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে বাংলাদেশের ইউনুস সরকার। অন্যদিকে, চিন্ময়প্রভুর দিক থেকে হাইকোর্টের বার্তা খানিকটা স্বস্তির হাওয়া নিয়ে এসেছে।
এদিন, আদালতে চিন্ময় পক্ষের শুনানিতে তাঁর হয়ে সওয়াল করেন, আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী প্রবীর হালদার। অন্যদিকে, মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের তরফে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও অনীক আর হক। দুই পক্ষের সওয়াল জবাবের পরই কোর্ট রুল জারি করে। উল্লেখ্য, এর আগে, গত ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এরপর ২৫ নভেম্বর ঢাকায় গ্রেফতার হন চিন্ময় প্রভু। পরদিনই তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে জেলবন্দি করার নির্দেশ দেয় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। সেই দিন চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে চিন্ময়পন্থীদের সঙ্গে বিরোধীদের তুমুল সংঘর্ষ হয়। সেখানে এক আইনজীবী সাইফুল ইসলামের মৃত্য়ু হয়। তার জেরে দায়ের হয় এফআইআর। এরপর বহুবার চিন্মকৃষ্ণের জামিনের মামলা ওঠে কোর্টে।