সাত দিনের মধ্যে অনুমোদনহীন ও অনথিভুক্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের নির্দেশ দিল বাংলাদেশ হাইকোর্ট। বাংলাদেশের অনুমোদনহীন ও অনথিভুক্ত নিউজ পোর্টালগুলো বন্ধের আবেদনের একটি মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে এক সপ্তাহের মধ্যে অনথিভুক্ত ও অনুমোদনহীন নিউজ পোর্টালগুলো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি মহম্মদ মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহম্মদ কামরুল হোসেন মোল্লার ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের এই নির্দেশ কতটা কার্যকর করা হচ্ছে, তার অগ্রগতির রিপোর্ট আদালতে পেশ করতেও নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। ২৮ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।
গত ৫ মে সংবাদপত্র ও সংবাদমাধ্যম কর্মীদের নৈতিক আচরণবিধি প্রণয়নের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এই দুই কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিস পাঠান বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী। এই দুই কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন ওই দুই আইনজীবী রাশিদা চৌধুরী ও জারিন রহমান।
১৬ অগস্ট মামলার প্রথম শুনানিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিতে গিয়ে ওই দুই সংবাদ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কাছে আদালত জানতে চায় যে, কেন অনুমোদনহীন ও নথিভূক্তহীন নিউজ পোর্টালগুলোর বন্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেবে না আদালত। এছাড়াও জানতে চাওয়া হয়, কেন সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা এবং সাংবাদিকদের জন্য নৈতিক আচরণবিধি প্রণয়নণের নিষ্ক্রিয়তা বেআইনি হবে না, তাছাড়া নৈতিক আচরণবিধি প্রণয়ণে যথাযথ আইনী পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হবে না, ওই নির্দেশে তাও জানতে চাওয়া হয়।
তথ্যসচিব, বিটিআরসি'র চেয়ারম্যান ও প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে সাত দিনের মধ্যে আদালতের এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে জবাব দিতে বলা হয়। এরপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন আইনজীবীরা।
আদালতে এই মামলার পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী রশিদা চৌধুরী ও জারিন রহমান। বাংলাদেশ সরকারের তরফে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মহম্মদ রাসেল চৌধুরী।
পরে মামলাকারী আইনজীবীরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মুনিয়ার দেহ উদ্ধার, অভিনেত্রী পরীমনি-সহ বেশ কয়েকটি মামলায় অনুমোদনহীন অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো মুখরোচক গল্প সাজিয়ে তা প্রচার করেছিল, তাই তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আবার অনেকগুলো নিউজ পোর্টাল অনুমোদন পেলেও তাদের নথিভুক্তিকরণ হয়নি। অথচ এই ধরনের অনুমোদনহীন সংবাদমাধ্যমগুলি চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া আদালতের নির্দেশের কোনও জবাব পাওয়া যায়নি তাদের কাছ থেকে।
আইনজীবীদের অভিযোগ, এই ধরনের নিউ পোর্টালগুলো বন্ধের ক্ষেত্রে কোনও উদ্যোগ নেয়নি সংবাদ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ও প্রেস কাউন্সিল। সেকারণেই এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল।