করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আদৌও পরীক্ষা হবে কিনা, তা নিয়ে ধন্দ আছে। তারইমধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার্থীদের অনলাইনে ফর্ম পূরণের নির্দেশ দিল ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। শুক্রবার বোর্ডের তরফে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী ২৯ জুন (মঙ্গলবার) থেকে ফর্ম পূরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। চলবে আগামী ১১ জুলাই পর্যন্ত।
প্রাথমিকভাবে ২৭ জুন থেকে ফর্ম পূরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানানো হয়েছিল। যদিও সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২৮ জুন (সোমবার) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পড়ুয়াদের সম্ভাব্য তালিকা প্রকাশ করা হবে। সেই তালিকার ভিত্তিতে পরদিন (২৯ জুন) থেকে শুরু হবে ফর্ম পূরণের প্রক্রিয়া।
শুক্রবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহম্মদ জাহিদ বক্ত চৌধুরীর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিজ্ঞান শাখার পড়ুয়াদের ফর্ম পূরণের জন্য ২,৫০০ টাকা দিতে হবে। কলা (মানবিক) এবং বাণিজ্য (ব্যবসা) বিভাগের পডু়য়াদের দিতে ১,৯৪০ টাকা। অতিরিক্ত অর্থ নিলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, এবার নির্বাচনী পরীক্ষা হবে না। তাই সেই খাতে কোনও অর্থ নেওয়া যাবে না।
এমনিতে করোনা পরিস্থিতিতে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বাংলাদেশে মধ্যে যাবতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। তার জেরে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা নিয়ে ধন্দ আছে। চলতি মাসের গোড়ার দিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের এক কর্তা জানিয়েছিলেন, উচ্চ মাধ্যমিকে ৮০ টি ক্লাস হবে। তারপর নেওয়া হবে পরীক্ষা। সেই কোটা পূরণ করে কবে পরীক্ষা নেওয়া হবে, তা নিয়েও ধন্দ আছে। তারইমধ্যে দিনদশেক আগে ঢাকার ইডেন কলেজে একটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মণি জানান, পড়ুয়াদের স্বার্থ এবং ভবিষ্যতের উপর সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই বিভিন্ন ধরনের বিকল্প খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা নেওয়া হবে নাকি বাতিল হয়ে যাবে, বাতিল হলে কীভাবে মূল্যায়ন হবে, সেই সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রক। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সম্ভবত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। কারণ ক্রমশ সময় পেরিয়ে যাচ্ছে।