হাসিনা সরকারের পতনের পর ইউনুসের শাসনাধীন বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সখ্যতা দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতিতে বেশ নজরকাড়া বিষয়। সদ্য পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন চাল কেনার চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশ, পাকিস্তানের এই কূটনৈতিক ঘনিষ্ঠতার মাঝেই চাল সম্পর্কিত বাণিজ্য নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কিছুদিন আগেই চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ীই বাংলাদেশের ঘরে একপ্রস্থ ঢুকেছে পাকিস্তানি চাল। এবার ইদের ঠিক আগে, ভারত থেকে বাংলাদেশের আমদানির সাড়ে ১১ হাজার টন চাল পৌঁছে গেল চট্টোগ্রাম বন্দরে।
সামনেই খুশির ইদ। ঠিক তার আগে ভারত থেকে বাংলাদেশের আমদানির অংশের সাড়ে ১১ হাজার চাল পৌঁছল ইউনুসের দেশে। প্রসঙ্গত, চুক্তি অনুযায়ী, ভারত থেকে ৯টি প্যাকেজে মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানির কথা রয়েছে বাংলাদেশের। সেই আমদানির অংশের সাড়ে ১১ হাজার টন চাল ভারত থেকে পৌঁছল বাংলাদেশে। যে সাড়ে ১১ হাজার টনের চাল বাংলাদেশে পৌঁছেছে তা সিদ্ধচাল। ইতিমধ্যেই ভারত থেকে রওনা হওয়া জাহাজ বাংলাদেশের চট্টোগ্রাম বন্দরে তা পৌঁছে দিয়েছে। বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রকের তরফে একথা জানানো হয়েছে। মন্ত্রক জানিয়েছে, ৯টি প্যাকেজে মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার টন চালের আমদানির কথা রয়েছে তার মধ্যে ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬৯ মেট্রিক টন চাল বাংলাদেশে পৌঁছেছে। চালের নমুনা পরীক্ষা ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। আর তার এবার খালাসের প্রক্রিয়ায় মধ্যে যাবে।
এর আগে, পাকিস্তানের ‘ন্যাশনাল শিপিং কর্পোরেশন’-এর একটি জাহাজ, পাকিস্তানের কাসিম বন্দর থেকে টন টন চাল নিয়ে পৌঁছয় বাংলাদেশ। বহু মিডিয়া রিপোর্ট দাবি করে, পাকিস্তানের থেকে বেশি দামে সেবার চাল কিনেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তান, বাংলাদেশের 'চাল' বাণিজ্যের চুক্তি অনুযায়ী, মোট ৫০ হাজার টন চাল পাকিস্তানের কাছ থেকে কিনছে বাংলাদেশ। যে চুক্তি ৩১ জনুয়ারি স্বাক্ষরিত হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। প্রসঙ্গত, সদ্য মার্চে ২৬ হাজার ২৫০ টন আতপ চালবাহী জাহাজ পাকিস্তান থেকে পৌঁছেছে চট্টোগ্রামে। পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশের ৫০ হাজার টন চাল কেনার সেইটিই ছিল শেষ পর্যায়। এরপরই, বাংলাদেশে ইদের আগে ভারত থেকে পৌঁছে যায় আমদানির সাড়ে ১১ হাজার টন চাল। এদিকে, পেঁয়াজ রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক তুলে নিয়েছে ভারত। তারফলে ১ এপ্রিল থেকে বিনা শুল্কে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারবেন ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানিকারকরা। যা বাংলাদেশের পেঁয়াজ চাষিদের কাছে সুখের খবর নয়। বাংলাদেশে এবার পেঁয়াজের উৎপাদন ভালোর দিকে রয়েছে বলে সেদেশের মিডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট দাবি করছে। সেই জায়গা থেকে পেঁয়াজের দামও কম। ফলে দাম তুলতে পারছেন না চাষিরা। তারমধ্যে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক ২০ শতাংশ তুলে নেওয়ার খবর বাংলাদেশের পেঁয়াজ চাষিদের কাছে সুখকর খবর নয়, বলে মিডিয়া রিপোর্ট দাবি করছে।