আরও অস্বস্তিতে পড়লেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ করছে বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য শেখ হাসিনার আমলে একটি বিশেষ আইন আনা হয়েছিল। যার অধীনে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যরা এতদিন বিশেষ নিরাপত্তা পেতেন। সেই আইন বাতিল হতে চলেছে। বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকারের উপদেষ্টা এই আইন বাতিলের অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা আর কেউই এই বিশেষ নিরাপত্তা পাবেন না।
আরও পড়ুন: হাসিনার সঙ্গে হওয়া ভারতের সব ‘গোপন’ চুক্তি বাতিল করতে হবে, দাবি বিএনপির
বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদ জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা (সংশোধন) অর্ডিন্যান্স, ২০২৪ আইন এবং সংসদ বিষয়ক বিভাগের মাধ্যমে যাচাই করা খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘যমুনা’য় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মহম্মদ ইউনুসের সভাপতিত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে খসড়াটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগের সরকারে, ‘ফাদার্স অফ দ্য ন্যাশন সিকিউরিটি অফ ফ্যামিলি মেম্বারস অ্যাক্ট, ২০০৯’ আইন আনা হয়। পরে আইন অনুযায়ী পরিবারের সদস্যদের বিশেষ নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
উপদেষ্টা পরিষদ বলেছে, আইনটি শুধুমাত্র একটি পরিবারের সদস্যদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য প্রণীত হয়েছে, যাতে সুস্পষ্ট বৈষম্য রয়েছে। পরিষদ আরও বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র অভ্যুত্থানের পর সকল বৈষম্য দূর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। সেই উদ্দেশ্যেই এই আইন বাতিল করা হচ্ছে।এই আইন বাতিলের জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া এবং একটি অর্ডিন্যান্স জারি করা করা হবে বলে পরিষদ জনিয়েছে।উল্লেখ্য, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা বাসভবনসহ দেশের সর্বত্রই বিশেষ নিরাপত্তা এবং বিনামূল্যে বিভিন্ন পরিষেবা পেতেন।
এদিকে, উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (সংশোধন) অর্ডিন্যান্স, ২০২৪'-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদনও দিয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন ২০২১’ প্রণয়ন করা হয়েছিল।
ছাত্রদের গণঅভ্যুত্থানের পরেই শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন। পরে ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। তারপরেই হাসিনার আমলে আনা বিভিন্ন আইন কানুন সংশোধন করতে তৎপর হয়েছে অন্তর্বতী সরকার।