বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে আইনি বৈধতা দিতে জারি হতে চলেছে অধ্যাদেশ। ইতিমধ্যেই সেই অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা বা উপদেষ্টা নিয়োগে কোনও ত্রুটি থাকলে তাদের কাজকে অবৈধ বলা যাবে না। আদালতেও মামলা করা যাবে না বা প্রশ্ন তোলা যাবে না। যদিও অন্তবর্তী সরকারের মেয়াদ কতদিন পর্যন্ত থাকবে সে বিষয়ে সময়সীমা নির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নতুন সংসদ গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার দিন পর্যন্ত এই অন্তর্বতী সরকারের মেয়াদ থাকবে। এ নিয়ে দ্রুত অর্ডিন্যান্স জারি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে সার্চ কমিটি, আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবি
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারে প্রধান উপদেষ্টা হলেন মহম্মদ ইউনুস। এছাড়াও ২০ জন উপদেষ্টা রয়েছেন এই সরকারে। খসড়ায় বলা হয়েছে সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সব রকমভাবে সাহায্য করবে অন্তর্বতী সরকার।
বলা হয়েছে, চলমান সাংবিধানিক সংকট মোকাবেলা করার জন্য বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশের কাজ সম্পাদনের জন্য ক্ষমতা দিতে হবে। জানা যাচ্ছে, রাষ্ট্রপতি এই অধ্যাদেশ জারি করবেন। যদিও খসড়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার সঠিক সংখ্যার বিষয়ে কিছু উল্লেখ নেই। এতে বলা হয়েছে যে অন্তর্বর্তী সরকার একজন প্রধান উপদেষ্টা এবং তাঁকে সহযোগিতার জন্য প্রয়োজনীয় উপদেষ্টার সমন্বয়ে গঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করবেন এবং প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শে অন্যান্য উপদেষ্টাদের নিয়োগ করবেন।
জানা গিয়েছে, এই অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদের সচিব শেখ আবদুর রশিদ জানান, নবনির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণ না করা পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বহাল থাকবে। আনুষ্ঠানিকভাবে অধ্যাদেশ জারি হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
তিনি আরও জানান, বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে খসড়াটি তৈরি করা হয়েছে। তবে আইন উপদেষ্টা বর্তমানে বিদেশে আছেন, ফেরার পর আরও আলোচনা হবে। বিশিষ্ট মহলের মতে, এই অধ্যাদেশটি অন্তর্বতী সরকারের কার্যকলাপের জন্য ব্যাপক আইনি সুরক্ষা প্রদান করে। তবে এই অধ্যাদেশ কবে জারি হতে পারে সেবিষয়ে এখনও নির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে এনিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশিষ্ট মহলের মতে, বর্তমানে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবস্থা এবং প্রধান উপদেষ্টা বা উপদেষ্টার পদ বলে কিছু নেই। সেই কারণে যাতে আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন না ওঠে তার জন্য এই অধ্যাদেশ জারি করা হবে।