নতুন বছরের প্রথমার্ধে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে প্রচুর পরিমাণে জ্বালানি তেল আমদানি করতে চলেছে বাংলাদেশ। এবছরের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে প্রায় ১৪ লক্ষ টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সিদ্ধান্ত হয়েছে ৭টি দেশের আটটি সংস্থা থেকে এই পরিমাণ জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে। এই দেশগুলি হল- ভারত, চিন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব এমিরেটস ও ওমান।
আরও পড়ুন: চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন খারিজ ‘বিচারের উপহাস’, সমালোচনায় মুখর হলেন কে?
জানা গিয়েছে, দেশগুলি থেকে জ্বালানি তেল আমদানিতে ব্যয় হবে প্রায় ৯৬ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ হল ১১ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে চলতি বছরের সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে এই তেল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এই পরিমাণ আমদানি করা তেল জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দেশের চাহিদা মেটাবে। যে তেল আমদানি করা হবে তার মধ্যে রয়েছে ৮.৮০ লক্ষ টন ডিজেল, ১.৯০ লক্ষ টন জেট ফুয়েল, ৭৫,০০০ টন পেট্রোল, ২.৮০ লক্ষ টন ফার্নেস অয়েল এবং ৩০,০০০ টন সামুদ্রিক জ্বালানি।
জানা গিয়েছে, জিটুজির ভিত্তিতে এই পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি) এই তেল আমদানির জন্য গত ২৪ অক্টোবর অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।এদিনের বৈঠকে জ্বালানি তেল ছাড়াও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি আরও বেশ কয়েকটি ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। তার মধ্যে রয়েছে, সয়াবিন তেল, ইউরিয়া, ডিএপি প্রভৃতি।
কমিটি টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড কর্মসূচির আওতায় বিক্রির জন্য যথাক্রমে ১৮৯ কোটি টাকা এবং ৯৪.৯৫ কোটি টাকায় ১.১০ কোটি লিটার সয়াবিন তেল ও ১০ হাজার টন মুসুর ডাল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। সয়াবিন তেল সুপার অয়েল রিফাইনারি থেকে সংগ্রহ করা হবে। আর মুসুর ডাল সরবরাহ করবে শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ। এছাড়াও কমিটি কাতার এনার্জি থেকে ১২৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকায় ৩০ হাজার টন ইউরিয়া, ২৯৬ কোটি টাকায় সৌদি আরবের এমএএডেন থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি (ডায়ামোনিয়াম ফসফেট) সার এবং ৩০ হাজার টন সুপারফোটাইল ট্রাইপলফার্টিল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। এর বাইরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দুটি এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা আইএমইডির একটি প্রস্তাব সভায় অনুমোদন করা হয়।