প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে নতুন করে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করতে চায় বাংলাদেশ। কিন্তু, ভারত কী চায়? আপাতত, সেটাই জানার অপেক্ষায় রয়েছে ঢাকা।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বর্তমান কেয়ারটেকার সরকারের অধীনস্ত বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এই বিষয়ে নয়া দিল্লিকে ইতিমধ্য়েই 'এগ্রিমো' (আনুষ্ঠানিক বা সরকারি স্বীকৃতির জন্য আবেদন বা অনুরোধ) পাঠিয়েছে। এবং ভারত তার কী জবাব দেয়, তা জানার অপেক্ষায় রয়েছে।
বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ রফিকুল আলম সাংবাদিকদের এই বিষয়ে জানিয়েছেন, 'আমরা ভারতের উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছি। আমার মনে হয় না, সাধারণত এই সমস্ত ক্ষেত্রে যতটা সময় লাগে, তার থেকে বেশি সময় লাগছে। যদিও এক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। তবুও সাধারণত তিন থেকে চারমাস সময় লাগে।'
লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, সাংবাদিকরা রফিকুলের কাছে জানতে চান, বাংলাদেশের পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন? এর জবাবে তিনি বলেন, 'সরকারের কাছে এই বিষয়ে কোনও তথ্য নেই।'
একইসঙ্গে, তিনি এও বলেন যে ভারতে ঠিক কী হিসাবে শেখ হাসিনা রয়েছেন, সেখানে তাঁর 'স্ট্যাটাস' কী, সেটা ভারত সরকারই বলতে পারবে।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর নিয়েও মহম্মদ রফিকুল আলমকে প্রশ্ন করা হয়। তার জবাবে তিনি জানান, এই বিষয়ে সমস্ত নথি ইতিমধ্যেই জনসমক্ষে আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই ভারত সরকারের তরফে বাংলাদেশের পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এই বিষয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
তাদের বক্তব্য হল, যেখানে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার পাসপোর্টই বাতিল করে দিয়েছে, সেখানে ভিসা থাকে কীভাবে? আর সেই ভিসার মেয়াদ বাড়ানোই যায় বা কীভাবে?
গত ৫ অগস্ট শেখ হাসিনা বিশেষ বিমানে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসার কিছু সময় পরই তাঁর পাসপোর্ট বাতিল করে দেয় বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার।
বস্তুত, সেই সময় মোট ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। যার মধ্যে অন্যতম হলেন শেখ হাসিনা। কেয়ারটেকার সরকারের বক্তব্য হল, যাঁদের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে, তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে গত জুলাই মাসের গণহত্যায় কোনও না কোনওভাবে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এবং সেই কারণেই তাঁদের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ অগস্টের পর থেকেই শেখ হাসিনা ভারতে রয়েছেন। যদিও তিনি ঠিক কোথায় রয়েছেন, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য সরকারিভাবে প্রকাশ করা হয়নি। ইতিমধ্য়ে হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার তরফে আবেদনও জানানো হয়েছে। কিন্তু, নয়া দিল্লি তার কোনও জবাব দেয়নি।