আমেরিকায় গিয়ে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের 'মাস্টারমাইন্ড' হিসেবে মাহফুজ আলমকে পরিচয় করিয়েছিলেন মহম্মদ ইউনুস। সেই সময় মঞ্চে ছিলেন প্রাক্ বিল ক্লিন্টন। আদতে ক্লিন্টনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েই মাহফুজকে নিয়ে গিয়েছিলেন ইউনুস। তবে মাহফুজকে সেভাবে জনসমক্ষে পেশ করার বিষয়টি সেভাবে 'পছন্দ' হয়নি অন্যান্য ছাত্র নেতাদের। আর এবার 'মাস্টারমাইন্ড' তত্ত্ব খারিজ করলেন বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামির আমির শফিকুর রহমান। তাঁর বক্তব্য, 'জুলাই অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব আল্লার। কোনও মাস্টারমাইন্ডে জামায়াতে ইসলামী বিশ্বাস করে না।' (আরও পড়ুন: তালিকায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের ৩ সন্তান,কাকে দিল্লির পরবর্তী CM করতে পারে BJP?)
আরও পড়ুন: শক্তিশালী পাসপোর্টের তুলনায় কত নম্বরে ভারত? বাংলাদেশ-পাকিস্তান আছে কততে?
আরও পড়ুন: কেজরিওয়ালের কাছেই হেরেছিলেন মা শীলা, নিজে না জিতেও 'বদলা' নিলেন সন্দীপ দীক্ষিত
আজ জামায়েত প্রধান বলেন, 'বিগত ১৫ বছর আন্দোলন করেও স্বৈরাচারের পতন ঘটানো সম্ভব হয়নি, এটাই বাস্তবতা। আর এই ১৫ বছরের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে ফ্যাসিজমের ওপর শেষ আঘাত হানা হয় ২০২৪ সালের জুলাই মাসে। ৫ অগস্টের একদিন আগেও কেউ জানত না, ভারতে পালানো স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের এভাবে পতন হবে। তখন অনেকেই এটার কৃতিত্ব দাবি করে বলে, অমুক ভাই মাস্টারমাইন্ড, তমুক নেতা মাস্টারমাইন্ড। সব কিছুই মহান আল্লার পরিকল্পনা, যার বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্র-জনতা।' (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে অপারেশন ডেভিল হান্ট, এবার কী করতে চায় ইউনুস সরকার?)
আরও পড়ুন: পদ্মপাঁকে ডুবল কেজরিওয়ালের ঝাড়ু, কোন ৫ কারণে দিল্লি জয় সম্ভব হল বিজেপির?
বাংলাদেশে যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হয়েছিল, সেটার সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক অন্যতম ‘মুখ’ ছিলেন মাহফুজ। তবে নাহিদ ইসলামদের মতো সামনের সারিতে থাকতেন না। পিছন থেকে পুরোটা ‘কন্ট্রোল’ করতেন বলে বিভিন্ন মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাঁকে ইউনুসের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ করা হয়। দেওয়া হয় সচিব পদমর্যাদা। আর তারপর মাহফুজকে পূর্ণাঙ্গ উপদেষ্টা করা হয়। এদিকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম মাহফুজকে নিয়ে এর আগে দাবি করেছিলেন, ২০১৮ সালের ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তবে মাহফুজকে আন্দোলনের ‘মাথা’ মানতে নারাজ জামাত। এই আবহে বাংলাদেশের জুলাই আন্দোলনের ‘ইতিহাস’ নিয়ে কি এবার বিতর্ক তৈরি হবে? তৈরি হচ্ছে সেই ধরনেইর সম্ভাবনা। (আরও পড়ুন: দিল্লির প্রভাব কি পড়বে বাংলায়? ছাব্বিশের ভোটে TMC-র আসন সংখ্যা বলে দিলেন কুণাল)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশেই নেই ইউনুসের ‘কথার দাম’, তাঁর প্রেস সচিব আবার আঙুল তুললেন ভারতের দিকে
এদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির সেক্রেটারি জেনারেল মিঞাঁ গোলাম পরওয়ার বললেন, 'হাসিনা ভারতে বসে ভারতের তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে বারবার উসকানি দিচ্ছেন। কিন্তু ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলছেন, হাসিনার বক্তব্যের সঙ্গে ভারতের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা অসত্য কথা। মুখপাত্রের এই বক্তব্যের সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রীয় নীতির কোনও মিল নেই। ভারতের চরম সম্প্রদায়িক একটি রাজনৈতিক দল হচ্ছে বিজেপি। এই বিজেপির শাসকগোষ্ঠী শেখ হাসিনাকে প্রশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশে আরেকটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে হাসিনাকে আবার এ দেশে আনার ষড়যন্ত্র করছে।'