বাংলাদেশ জামাতে ইসলামির আমির শফিকুর রহমান ফের একবার সরাসরি ভারতের নাম না নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন। সোমবার রংপুরের এক জনসভায় জামাত প্রধান বলেন, 'স্বাধীনতার চেতনার নামে অন্য দেশের কাছে আমার দেশের ইজারা দেওয়া যায় না।' এদিকে বিগত হাসিনা জমানা নিয়ে শফিকুরের বক্তব্য, 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে জাতিকে বিভক্ত করে মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছিল।' তাঁর কথায়, 'বলা হয়েছিল, একদল স্বাধীনতার পক্ষে, আরেক দল বিপক্ষে। পক্ষের দলটি স্লোগান দিয়ে মানুষকে শোষণ করেছে। তারা কার্যত এ দেশকে অন্য দেশের হাতে ইজারা দিয়ে রেখেছে। স্বাধীনতার চেতনার নামে অন্য দেশের কাছে আমার দেশ ইজারা দেওয়া যায় না।' (আরও পড়ুন: আরজি করের খুনকে 'আত্মহত্যা' বলে 'চালাতে চেয়েছিলেন' কে? সামনে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট)
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে 'লাল কম্বল রহস্য', সেই রাত নিয়ে কী বয়ান মৃত চিকিৎসকের সহকর্মীদের?
শফিকুর আরও বলেন, 'একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে যেভাবে মর্যাদা ও অধিকার পাওয়ার কথা ছিল... যেভাবে একটি সুন্দর শিক্ষাব্যবস্থা, মজবুত অর্থনীতি ও সম্মানজনক পররাষ্ট্রনীতি পাওয়ার কথা ছিল... তার কোনও কিছুই আমরা পাইনি। ৫৩টি বছর জাতি বিভক্ত থেকেছে।' এদিকে তিনি ধর্মীয় ভেদাভেদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমাদের মধ্যে পারস্পরিক হিংসা, বিদ্বেষ নেই বললেই চলে। আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কিন্তু ওই দলটি ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু বলে গন্ডগোল লাগিয়ে রেখেছে।' (আরও পড়ুন: 'ভারতপোল'-এর নীলনকশা তৈরি করল CBI, কী কাজ করবে এটি? তদন্তে কেমন ভাবে হবে সাহায্য)
আরও পড়ুন: ভারতে তৈরি ১১ ওষুধের আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আমেরিকার, কিন্তু কেন?
তিনি আরও বলেন, 'এই দলটি মানুষের শান্তির ঘুম কেড়ে নিয়েছে। বিচার বিভাগকে তছনছ করে দিয়েছে। সেনা আধিকারিকদের খুন করিয়েছে। জামাতে ইসলামির দেশপ্রেমিক শীর্ষস্থানীয় নেতাদের খুন করিয়েছে। শতাধিক নেতা-কর্মী খুন করেছে। আলেম-উলেমাদের খুন করা হয়েছে। পায়ে শিকল, হাতে হ্যান্ডকাফ দিয়ে আলেম-উলেমাদের এক জেল থেকে আরেক জেলে টানাটানি করা হয়েছিল।'
এদিকে সম্প্রতি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই ওরফে কানুকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল দুই জামাতে ইসলামি সমর্থকের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে সেই অভিযুক্ত মহম্মদ আবুল হাশেম ও মহম্মদ অহিদুর রহমানকে বহিষ্কার করেছে দল। এদিকে হেনস্থার শিকার মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে নাকি হত্যা মামলা সহ ৯টি মামলায় অভিযোগ আছে বলে দাবি করেছে জামাতে ইসলামি। তবে এই কথা বলেও নিজেদের বিবৃতিতে জামাত বলে, 'মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জামাতে ইসলামি শুধু বীর মুক্তিযোদ্ধা নয়, দেশের সাধারণ কোনও নাগরিককেও হেনস্তা করার বিষয়টি সমর্থন করে না।' এদিকে হেনস্থাকারীদেরও যথাযথ শাস্তির দাবি করে জামাতে ইসলামি।