বাংলাদেশের প্রাক্তনমন্ত্রী লতিফ বিশ্বাসকে রবিবার তাঁর বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের যৌথ বাহিনী। এমনই খবর নানান রিপোর্টে উঠে আসছে। জানা যাচ্ছে, আচমকাই শেখ হাসিনার আমলের এই মন্ত্রীর বাড়িতে বাংলাদেশের বর্তমান মহম্মদ ইউনুস সরকারের আমলের যৌথ বাহিনী এদিন অভিযান চালায়। এরপরই তাঁর বাড়ি থেকে লতিফ বিশ্বাসকে আটক করা হয়েছে বলে খবর।
আবদুল লতিফ বিশ্বাস আওয়ামি লিগের প্রাক্তন সভাপতি। এককালে তিনি ছিলেন শেখ হাসিনার মন্ত্রকের প্রাণী সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী। এদিকে, এদিন সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে অভিযান চালায় বাংলাদেশের যৌথ বাহিনী। তারা প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে অভিযান চালায়। বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি ‘প্রথম আলো’ সংবাদপত্রকে জানান, আবদুল লতিফ বিশ্বাসকে যৌথ বাহিনী আটক করেছে। বর্তমানে তাঁকে জেলা সদরে যৌথ বাহিনীর হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, কোন অভিযোগে আটক হয়েছেন আবদুল লতিফ বিশ্বাস? তা এখনও স্পষ্ট হয়নি বলে খবর। তবে আশা করা হচ্ছে, ইউনুস প্রশাসন খুব শিগগিরই এই নিয়ে মুখ খুলবে। বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি জাকারিয়া হোসেন জানিয়েছেন, ‘আমার জ্ঞানত তাঁর বিরুদ্ধে এই থানায় কোনও মামলা নেই।’ এর থেকেই আরও বেশি রহস্য ঘনাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে অতর্কিতে বাংলাদেশের প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়িতে কেন হানা দিল সেদেশের যৌথ বাহিনী? এই অভিযানের নেপথ্য কারণ কী? লতিফ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ রয়েছে? এমন একাধিক প্রশ্ন রয়েছে।
এর আগে, শনিবার রাত ৯টার দিকে এনায়েতপুর থানা এলাকার এনায়েতপুর গ্রামে খাজা ইউনুস আলী (রহ.)–এর দরবার শরিফে ১১০তম ওরস শরিফে প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস পৌঁছলে কিছু দুষ্কৃতকারী তাঁর গাড়ি রুখে দেয় বলে খবর। তাঁকে হেনস্থা করার অভিযোগ রয়েছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এ সময় দুর্বৃত্তের ঢিলে গাড়ির একটি গ্লাস ভেঙে যায়। পরে দরবারের নিরাপত্তায় থাকা আনসার সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করেন বলে খবর। এনায়েতপুর থানার তরফে যদিও সেখানের ওসি জানিয়েছেন, হামলার কথা তিনি শুনেছেন, তবে বিস্তারিত বলতে পারবেন না। তিনি জানান, এই নিয়ে লতিফের বিরুদ্ধেও সেই থানায় কোনও মামলা নেই। ফলে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, কোন অভিযোগে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আটক করা হল বাংলাদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাসকে? যে ঘটনায় সোজা যৌথ বাহিনী তাঁর বাড়িতে পৌঁছে অভিযান চালায় বলে খবর।