দুর্গাপুজোর দিনগুলি নির্বিঘ্নে কাটলেও দ্বাদশীতে হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটল বাংলাদেশে। পিটিআই সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ৮ নং ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের দউতিয়া গ্রামে। সেখানে মন্দিরে ঢুকে প্রতিমার গলা কেটে দেওয়া হয়। ভাঙচুরও চালানো হয়। ঘটনার পরই দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে জানান ঝিনাইদহ থানার সহকারী পুলিশ সুপার অমিত কুমার বর্মণ। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধেএকটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মন্দির কমিটির প্রেসিডেন্ট সুকুমার কুন্দা জানিয়েছেন, এই মন্দিরটি ব্রিটিশ জমানার। বিগত কয়েক দশক ধরে এখানে স্থানীয় হিন্দুরা পুজো দিয়ে আসছে। এহেম মন্দিরে ঢুকে তাণ্ডব চালানো হয়। কালীমূর্তির গলা কেটে মন্দির থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এদিকে বাংলাদেশ দুর্গাপুজো উদযাপন কমিটির সাধরণ সম্পাদক তথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার ঘটনা প্রসঙ্গে বার্তা সংস্থা বপিটিআই-কে বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে ঝিনাইদহের মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছিল।’
প্রসঙ্গত, গতবছর কুমিল্লার ঘটনার পর এবছরও দুর্গা পুজোর সময় বাংলাদেশে নাশকতার আশঙ্কা ছিল। তবে বাংলাদেশ সরকার এবং প্রশাসনের তৎপরতায় নির্বিঘ্নেই পুজোর দিনগুলিতে মেতে উঠেছিলেন পড়শি দেশের সংঘ্যালঘুরা। তবে পুজো কাটতে না কাটতেই ফের একবার সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটল বাংলাদেশে। এর আগে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী তথা শাসকদল আমাওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দাবি করেছিলেন, সংখ্যালঘুদের উপর হামলার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এই আবহে ফের একবার এই ধরনের ঘটনা ঘটায় অস্বস্তিতে হাসিনা সরকার।