বাংলাদেশের নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় এক ছাত্রকে তার শিক্ষিকা প্রস্রাব পান করিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। সেই শিক্ষিকা ইতিমধ্যে সেই অভিযোগ স্বীকারও করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন এক শিক্ষা আধিকারিক। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এই উপজেলার সহকারী শিক্ষা আধিকারিক ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, চকচান্দিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোসাম্মৎ শাহানা বেগম এই দোষ করেছেন।
এই ঘটনা যার সাথে ঘটেছে সেই ছাত্র বলেছেন, ঐ শিক্ষিকা তাকে খুব মারধর করতেন। সেই শিক্ষিকা ছাত্রকে বলেন, ছাত্রের বাড়ি থেকে আনা জলের বোতলে প্রস্রাব করে তা পান করতে। না করলে সে আরো মার খাবে। ভয়ে ছাত্রটি প্রস্রাব পান করে নেয়। পরে বাড়িতে এসে বাবা মাকে ঘটনা কথা জানায়।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর পুরো এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তারা ওই শিক্ষিকার অপসারণ ও শাস্তি দাবি করেছেন।
শিক্ষিকা শাহানা বেগম অবশ্য বলেছেন, যে তিনি ছাত্রটিকে নিজে প্রস্রাব খাওয়াইনি। ছাত্রটি যখন ছাদে প্রস্রাব করে তখন রাগের বশে তিনি ঐ ছাত্রকে প্রস্রাব খেতে বলেন।
প্রধান শিক্ষক মো. এরশাদ আলী ডলার অন্য শিক্ষকের কাছে ঘটনাটি জানতে পেরেছেন বলে জানান। এরশাদ আলী বলেন,তিনি ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না। পরে সহকারী শিক্ষিকা তানজিলার মুখ থেকে বিস্তারিত শুনেছেন। প্রধান শিক্ষক এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন।
খবর পাওয়ার পরপরই শিক্ষা আধিকারিক ইসতিয়াক আহমেদসহ অন্যান্যরা বিদ্যালয়ে ঘটনা যাচাই করেন। উপজেলা শিক্ষা আধিকারিক আজমল হোসেন, সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। ইতিমধ্যেই সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে শিক্ষিকাকে যাতে তিনি আর ক্লাস নিতে না পারেন।