বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে করা লিভ টু আপিলের শুনানি হল আজ। সেদেশের শীর্ষ আদালত এই ইস্যুতে ঐতিহাসিক রায় দিয়ে হাই কোর্টের রায় খারিজ করে দিল। কোটা পুর্নবহালের হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করে শীর্ষ আদালত জনাল, এখন থেকে সরকারি চাকরিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। বাকি সাত শতাংশের মধ্যে পাঁচ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, এক শতাংশ কোটা থাকবে পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীর জন্যে আর এক শতাংশ প্রতিবন্ধী-তৃতীয় লিঙ্গ কোটা হিসাবে থাকবে। (আরও পড়ুন: পেট্রাপোলে বন্ধ বাণিজ্য, বাংলাদেশ থেকে মাছ আসছে না এপারে, লোকসান কয়েক কোটি টাকার)
আরও পড়ুন: 'গণতন্ত্রের জন্যে গুলি খেয়েছি, আর ওরা বলে…', ডেমোক্র্যাটদের পালটা তোপ ট্রাম্পের
এদিকে এই কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫১ জন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার সদস্যদের জন্য বরাদ্দ ৩০ শতাংশ কোটা ইস্যুতে আজ সেদেশের সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়। এর আগে ২০১৮ সালে এই কোটা ব্যবস্থা তুলে দিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছিল শেখ হাসিনা সরকার। পরে সেই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে ২০২১ সালে বাংলাদেশ হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন ৭ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য। চলতি বছরের ৫ জুন হাই কোর্টে হাসিনা সরকারের নির্দেশিকা বাতিল হয়েছিল। এই আবহে সেদেশে শুরু হয়েছিল কোটা বিরোধী আন্দোলন। আজকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আগে পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ৫৬ শতাংশ আসন সংরক্ষণের আওতায়। বাকি ৪৪ শতাংশ আসন রয়েছে সাধারণ চাকরিপ্রার্থী ও পরীক্ষার্থীদের জন্য।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করেছিল। শুক্রবারও সেই হিংসা জারি ছিল। এরপর শুক্রবার রাতে কার্ফু জারির পরও পুরোপুরি শান্ত হয়নি পরিস্থিতি। এর জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫১ হয়েছে। এদিকে সর্বশেষ নির্দেশ অনুযায়ী, আজ বিকেল ৩টে পর্যন্ত বাংলাদেশে কার্ফু জারি থাকবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানান, বিকেল ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত শিথিল করা হবে কার্ফু। এরপর রবিবার বিকেল ৫টা থেকে ফের কার্ফু জারি হবে পরবর্তী নির্দেশিকা জারি করা পর্যন্ত। এদিকে দেশ জুড়ে এভাবে কার্ফু জারির তীব্র বিরোধিতা করেছে বিএনপি। দলের মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগির এই নিয়ে সরকারের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় পড়ুয়ারা দেশে ফিরছেন। শনিবার পর্যন্ত প্রায় ১০০০ জন ভারতীয় পড়ুয়া বাংলাদেশ থেকে এদেশে ফিরে এসেছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখনও প্রায় ১৪ হাজার ভারতীয় আছেন। তাঁদের মধ্যে আর্ধেকই পড়ুয়া। আরও ৪০০০ পড়ুয়া ভারতে ফেরার জন্যে হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।