শুক্রবার বাংলাদেশে হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব , টিকটক নিষিদ্ধ ঘোষণা করল শেখ হাসিনা সরকার। এর আগে পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে দেশ জুড়ে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই সময়তে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। আপাতত অবশ্য পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে সেই দেশে। হিংসা কমেছে। তবে ছাত্রদের আন্দোলন এখনও জারি আছে। আজও ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন পড়ুয়ারা। এদিকে গতকাল খুলনায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলার সময় এক পুলিশকর্মীকে খুন করা হয়। জানা গিয়েছে, মৃত পুলিশকর্মীর নাম সুমন কুমার ঘরামি। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিক্ষোভকারীদের প্রহারে সুমনের মাথায় ইন্টারনাল ইনজুরি হয়। তাঁর মাথার খুলি ভেঙে যায়। ঘটনার পর সুমনবাবুর স্ত্রী ভেঙে পড়েন। তাঁর মৃত্যুর মামলা ১২০০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে এখনও কোনও গ্রেফতারি হয়নি। (আরও পড়ুন: বৈঠকে বাংলার বকেয়া নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, রাজ্যের পকেটে আসছে ৩২৮ কোটি)
আরও পড়ুন: তৈরি হবে করিডর, জুড়বে বাংলার দুই প্রান্ত, খরচ হবে ১০২৪৭ কোটি, অনুমোদন কেন্দ্রের
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেপথ্যে সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে যে হিংসা ছড়িয়েছিল, তার পিছনে জামাতের হাত ছিল বলে অভিযোগ সরকারের। এই আবহে গত জুলাই মাসেই জামাত-ই-ইসলামি এবং ইসলামি ছাত্র শিবিরকে পুরোপুরি ব্যান করে হাসিনা সরকার। তাদের বিরুদ্ধে দেশ বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ করেছে সরকার। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন জামাতকে নির্বাচনী লড়াই থেকে নিষিদ্ধ করেছিল। তবে সংগঠন হিসেবে এখনও পর্যন্ত বাংলদেশে তারা বৈধ ছিল। তবে হাসিনা সরকার জামাতের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে। (আরও পড়ুন: এবার খেলা হবে দিবসের জন্যে ক্লাবগুলিকে দেওয়া হবে ১৫০০০ টাকা করে!)
আরও পড়ুন: সৌরভের কথা শুনে প্রতারিত, মহারাজের বিরুদ্ধে এবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের ১২৭ জনের
উল্লেখ্য, কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা ২০০-র গণ্ডি ছাড়িয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে সেদেশের সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে। যদিও সরকারি হিসেবে দাবি করা হয়েছে, মৃতের সংখ্যা এর থেকে অনেকটাই কম। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে নতুন করে। এদিকে এই কোটা বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়কদের ঢাকা পুলিশ আটকে রেখেছিল বলে অভিযোগ। এদিকে ঢাকার রাস্তায় এখন আর নতুন করে রক্তপাত না হলেও পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে হিংসার ঘটনা হচ্ছে এখনও কোথাও কোথাও। এই সবের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ১৫৮ সদস্যের সমন্বয়ক দল গঠন করেছে। জানানো হয়েছে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪৯ জন পড়ুয়া সমন্বয়ক ও ১০৯ জন সহ-সমন্বয়ক হয়েছেন।