১৯৭২ সালের সংবিধান 'কবর' দেওয়ার ডাক দিয়েছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। বিএনপি অবশ্য সেই দাবির সঙ্গে পুরোপুরি সহমত ছিল না। তবে জামাতে ইসলামি বাংলাদেশি ছাত্র নেতাদের সেই দাবিকে সমর্থন করেছিল। আর এবার সেই দলেরই সহসভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ মুজিবুর রহমান একটি জনসভা থেকে বললেন, 'আল্লাহর আইন ছাড়া দেশে অন্য কোনও আইন চলতে দেওয়া হবে না।' তাঁর দাবি, বাংলাদেশের সংবিধানে কোরান-সুন্নাহর আইন চালু করতে হবে। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দু সাংবাদিকের মা এবং মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে ধারাল অস্ত্রের কোপ)
আরও পড়ুন: একদিনে ১৫ কিমি… বাঘিনী জিনাতের পিছু নিয়ে পুরুলিয়ার সীমানায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার
রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩ জানুয়ারি ঢাকার ডেমরায় অনুষ্ঠিত হয় জামাতে ইসলামির কর্মী সম্মেলন। সেখানেই মুজিবুর রহমান বলেন, 'জীবন বাজি রেখে দেশে কোরান-সুন্নাহর আইন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি। এদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রয়োজনে আবারও দলের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমে আন্দোলন করবে, শহিদ হবে।' উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম প্রকাশ্যে জামাতে ইসলামির ছাত্র সংগঠনের প্রশংসা করেছিলেন। আবার ছাত্র নেতাদের সংবিধান বদলের দাবিকে সমর্থন জানায় জামাত। এই আবহে সংবিধান বদল নিয়ে বাংলাদেশে চর্চা ও জল্পনা তুঙ্গে। এরই মাঝে জামাতের শীর্ষ স্থানীয় নেতার এহেন মন্তব্যে জল্পনা আরও বেড়েছে। (আরও পড়ুন: তুরস্ক থেকে ট্যাঙ্ক কিনছে বাংলাদেশ, সবটাই দেখছে ভারত, বিদেশ মন্ত্রক বলল...)
এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ঘোষণাপত্র প্রকাশ করার কথা বলেছিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেখানে 'মুজিববাদী সংবিধানকে কবর' দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এই নিয়ে চরম জল্পনার মাঝেই বাংলাদেশ সরকারও জানিয়ে দিয়েছিল, এই ঘোষণাপত্রের সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই। তবে ঘোষণাত্র প্রকাশের আগের রাতেই পরিস্থিতি পুরো বদলে যায়। গভীর রাতে এক জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়, গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত এক ঘোষণাপত্র প্রকাশ করবে সরকার নিজেই। জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে তৈরি করা হবে সেই ঘোষণাপত্র। এই নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছিলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে দেশের সব রাজনৈতিক দল এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি ঘোষণাপত্র তৈরি করা হবে। হাসিনা বিরোধী আন্দোলন নিয়ে সেখানে সাধারণ মানুষের আকাঙ্খা প্রতিফলিত হবে। তবে কবে প্রকাশ করা হবে এই ঘোষণাপত্র? তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েকদিনের মধ্যেই এই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হবে।