বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা রৈজনিতক দল তৈরির করার পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন। এই আবহে হাসিনা বিরোধী এই দলকে নিয়ে কৌতুহল আছে সবারই মনে। একদিকে যখন বিএনপি চাইছে, সরকারে থেকে যেন এই ছাত্র নেতারা দল না গঠন করেন; অপরদিকে নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদের মতো নেতাদের সরকার থেকে পদত্যাগ ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে প্রথম আলোর রিপোর্টে দাবি করা হল, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করে নয়া দলের আহ্বায়ক হতে পারেন নাহিদ। এদিকে দলের দ্বিতীয় শীর্ষ পদে তিনজনের নাম নিয়ে জল্পনা চলছে - জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারি, সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। (আরও পড়ুন: একজন পা পিছলে পড়ার জেরেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত ১৮? নয়াদিল্লি কাণ্ডে রেলের যুক্তি…)
আরও পড়ুন: ইলন মাস্কের ১৩তম সন্তানের 'মা' বলে নিজেকে দাবি, কেই এই লেখিকা?
প্রথম আলোকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্র নেতা নাকি বলেছেন, চলতি সপ্তাহে বা তার পরের সপ্তাহে সরকারের উপদেষ্টা পদ ছেড়ে দি পারেন নাহিদ। এদিকে মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদ এখনও দলে যোগ দেবেন না। তাঁরা সরকারেই থাকতে পারেন। এই মাসের শেষ সপ্তাহে দলটির আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। এই পরিস্থিতিতে ছাত্রদের দলের মতাদর্শ নিয়েও কৌতুহল তৈরি হয়েছে। শুধুই কি হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধু বিরোধিতার পথে হেঁটে নিজেদের রাজনীতি করবে নতুন প্রজন্মের এই নেতারা? তাঁরা কি ডানপন্থী হবেন, নাকি বামপন্থী হবেন? এই নিয়ে কালের কণ্ঠের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ছাত্ররা নিজেদের দলের জন্য় 'মধ্যপন্থাকে' মতাদর্শ হিসেবে বেছে নিতে চাইছেন। (আরও পড়ুন: দিনহাটায় সীমান্তে বাংলাদেশিদের ঠেকিয়েছিল BSF, তারপরই BGB-র সাথে হল বৈঠক)
আরও পড়ুন: সীমান্তের ওপারে আটক ভারতীয় নারী, পরে পশ্চিমবঙ্গে ফিরিয়ে দেয় বিজিবি
কালের কণ্ঠের রিপোর্ট অনুযায়ী, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন নতুন দল নিয়ে বলেছেন, 'আমরা মধ্যমপন্থী রাজনীতির কথা বলব। আমরা বাম-ডান এমন যে বিভাজন আছে সেগুলোতে ঢুকতে চাই না। আমরা বাংলাদেশ প্রশ্নে এক থাকতে চাই। ইসলাম বিদ্বেষী রাজনীতি অথবা উগ্র ইসলামপন্থী বা উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির মধ্যেও আমরা নেই।' এদিকে জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলি আহসান জুনায়েদ বলেন, 'আমরা সাম্য, ন্যায়বিচার এবং সুশাসনের কথা বলতে চাই। আমরা দেশে বসবাসরত বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বহুত্ববাদকে স্বীকার করতে চাই।' জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, 'আমরা অধিকারের রাজনীতিকে সামনে নিয়ে আসব। দেখব যাবে নির্দিষ্ট কোনও মত বা ধর্ম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে না ওঠে।' (আরও পড়ুন: 'আধঘণ্টা পরে পাই বোনকে, ততক্ষণে ও মরে গিয়েছে... রেললাইন পার করে দেহ নিয়ে যাই')
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দফায় মার্কিন বিমানে ভারতে ফিরলেন ১১৯ জন অবৈধবাসী, কোন রাজ্যের কতজন এলেন?
এদিকে দলের মতাদর্শ তৈরির ক্ষেত্রে আহসান জুনায়েদ বলেন, 'ভারতের আম আদমি পার্টি দেশে-বিদেশে উচ্চশিক্ষিত তরুণদের ব্যাপকভাবে আকৃষ্ট করেছে। দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম করেছে। আমরা সেগুলো দেখছি।' এছাড়া ইমরান খানের দলের নীতি নিয়েও পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এই সব দল কীভাবে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে, তা খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন জুনায়েদ। এদিকে নতুন এই দলের শীর্ষ পদে কে বসবেন সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। শোনা যাচ্ছে, দলের গঠনতন্ত্রে অভিজ্ঞরাও স্থান পাবেন। যদিও প্রাধান্য পাবেন তরুণ নেতারাই। সিভিল সোসাইটির বিশিষ্টজনদের নিজেদের দলের নেতৃত্বে ছাত্ররা স্থান দিতে ইচ্ছুক বলে দাবি করেছেন সমন্বয়ক আবু বাকের মুজমদার।