সম্প্রতি আগরতলায় বাংলাদেশি হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছিল। সেই ঘটনার প্রতিবাদে এবার ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হল। শুক্রবার বিকেলে ভারতীয় হাইকমিশনে এই স্মারকলিপি দিয়েছে 'ইনকিলাব মঞ্চ'। এর আগে ঢাকার গুলশান এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের তরফ থেকে একটি মানববন্ধন করা হয়েছিল। এদিকে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পর ইনকিলাব মঞ্চের রফ থেকে দাবি করা হয়, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা নিয়ে 'অপপ্রচার' বন্ধের দাবি করা হয়েছে। এদিকে ভারতে নাকি আজমির শরিফ দখলের ষড়যন্ত্র চলছে, তার প্রতিবাদ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গতকল গুলশান ২ এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের তরফ থেকে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছিল। তারপর ঢাকা পুলিশের অনিমতিত তিন প্রতিনিধির একটি দল ভারতীয় হাইকমিশনে প্রবেশ করে। সেখানে তারা স্মারকলিপি জমা দেয়। ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি জানান, ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর 'অত্যাচারের' ঘটনা বন্ধের দাবি জানিয়ে এসেছেন তাঁরা হাইকমিশনে। এদিকে ইনকিলাব মঞ্চের এই প্রতিবাদ জমায়েতে বিভিন্ন জনের হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল - 'কুকি সম্প্রদায়ের মহিলাদের ধর্ষণকে আইনি মর্যাদা দিয়েছে ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার', 'হরদীপ সিং নিজ্জরকে কে মেরেছে?', 'এশিয়ার ইজরায়েল হয়ে গিয়েছে ভারত'। এছাড়াও কাশ্মীর নিয়েও বেশ কিছু বক্তব্য দেখা গিয়েছিল সেই সব ব্যানারে।
এর আগে জানা গিয়েছিল, আগরতলা ও কলকাতা হাইকমিশনের দুই প্রধানকে ঢাকায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, কলকাতার হাইকমিশনের প্রধান বৃহস্পতিবার দেশে ফিরে গিয়েছেন। ত্রিপুরার সহকারি হাই কমিশনারেরও ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে। ত্রিপুরায় ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে তাদের ঢাকায় ফেরত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয় রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, ঢাকায় ফিরে কলকাতায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি হাইকমিশনার শিকদার মহম্মদ আশরাফুর রহমান এখানকার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টার সঙ্গে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মিডিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, হিন্দু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে হাই কমিশনারের অফিসে আগরতলায় হামলা চালানো হয়েছিল। তবে বিষয়টি নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছেন। অনেকের মতে, নিজেদের দেশে হিন্দু নির্যাতনের বিষয়টি আড়াল করতেই নানা পন্থা অবলম্বন করছে বাংলাদেশ। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে এই হিংসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠছেন সাধারণ মানুষ, তাতে অস্বস্তি আরও বাড়ছে বাংলাদেশ সরকারের।