বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিক্ষুব্ধ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহত 'সৈনিকরা'। এই আবহে রাস্তায় নেমে অবরোধ করলেন তাঁরা। বছরের দ্বিতীয় দিনেই ঢাকার শাহবাগে অবরোধ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জুলাই বিপ্লবের আহতরা। বাংলাদেশি সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে শুরু হয় সেই অবরোধ। পরবর্তীতে আহতদের মান ভাঙাতে পথে নামেন জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ ছিল, হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন না তাঁরা। এই আবহে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন সারজিস। এরপরে অবরোধ তুলে নেন আহত বিপ্লবীরা। (আরও পড়ুন: হাসিনাকে ফেরত চাইতে 'সব কাজ' শেষই করেনি ঢাকা, কী করবে দিল্লি?)
আরও পড়ুন: ঘুষকাণ্ডে আদানির বিরুদ্ধে এখনই কোনও পদক্ষেপ নয়, জানিয়ে দিলেন চন্দ্রবাবু
এদিকে গতকালকের এই অবরোধের জেরে দীর্ঘসময় ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে বিক্ষোভকারীরা দাবি জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের পরিচালককে পদত্যাগ করতে হবে। তাঁদের অভিযোগ ছিল, চিকিৎসায় অবহেলা করা হচ্ছে। এমনকী চিকিৎসকরা দুর্ব্যবহার করছেন বলেও দাবি করা হয়। পরে সেখানে যান শাহবাগ থানার ওসি এবং সারজিস আলম। তাঁরা বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে শুনিয়ে অবরোধ তুলতে রাজি করান। এই নিয়ে পুলিশ জানায়, জুলাই বিপ্লবের আহতদের এই অবরোধের জেরে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে শাহবাগের ব্যস্ত রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ ছিল। ৮টা থেকে ফের সেই রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। (আরও পড়ুন: লাস ভেগাসের হামলাকারী এক মার্কিন সেনাকর্মী, বিস্ফোরণের আগে নিজের মাথায় করেন গুলি)
আরও পড়ুন: নয়া বছরের শুরুতেই বড় খবর? ডিএ মামলার শুনানি নিয়ে কী জানা যাচ্ছে?
আরও পড়ুন: ডিএ বৃদ্ধির নাম নেই, তারই মধ্যে অর্থ দফতরের কর্মীদের নিয়ে বিস্ফোরক সরকার
এদিকে অপর এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ের বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় ২ হাজারেরও বেশি মামলা হয়েছে বাংলাদেশ জুড়ে। এই সব মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে লক্ষাধিক মানুষকে। তার মধ্যে ১২ হাজার অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এই মামলাগুলিতে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও পুলিশের নাম রয়েছে। এই সব মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এ পর্যন্ত ৩৯ জন সংসদ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে গ্রেফতারি এড়াতে কেউ কেউ দেশেই গা ঢাকা দিয়ে আছেন। আবার অনেকেই বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। দেশ ছেড়ে পালাতে গিয়ে আবার অনেকেই ধরাও পড়েছেন। এদিকে এই সব মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে অনেক নিরীহ ব্যক্তির নাম রয়েছে বলেও অভিযোগ। এই আবহে নিরীহরা যাতে হয়রানির শিকার না হন, তা নিশ্চিত করতে এবং ভুয়ো মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করার লক্ষ্যে জেলা ও মন্ত্রক পর্যায়ে দু'টি কমিটি গঠন করা হয়েছে।