ভারতের বিরুদ্ধে এবার সুর চড়ালেন বাংলাদেশের আইনি উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলছেন, ভারতকে বুঝতে হবে যে এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়। একইসঙ্গে তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও সমালোচনা করেন। মমতা সদ্য পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বলেছিলেন, তাঁরা বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংঘের শান্তি সেনা নামানোর দাবি জানাচ্ছেন। তারপর থেকে ক্ষোভ সামলে রাখতে পারছেন না বাংলাদেশের একের পর এক নেতা।
চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর গ্রেফতারির পর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক ঘিরে উদ্বেগ শুরু হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতক আঙিনায় যা নতুন চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। এদিকে, চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর গ্রেফতারিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে এপার বাংলা, ত্রিপুরা সহ দেশের নানান প্রান্তের মানুষ। বহু হিন্দু সংগঠন ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারই মাঝে সোমবার ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনের দফতরের চত্বরে নিরাপত্তার বেষ্টনী ভেঙে ঢুকে পড়ে একদল বিক্ষোভকারী। সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বাংলাদেশ। ঘটনা ‘গভীর অনুতাপের’ বলে দাবি করেছে দিল্লিও। তবে তারই মাঝে বাংলাদেশ থেকে সেদেশের সরকারের একের পর এক নেতা সরব হয়েছেন আগরতলাকাণ্ডে। তাঁরা মুখ খুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও। সদ্য ফেসবুকে ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
আগরতলা থেকে মমতা ইস্যুতে আসিফ:
আসিফ নজরুল লেখেন,' আজকে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন তছনছ করা হয়েছে, বাংলাদেশের পাতাকায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। (প্রশ্ন করি, এই ঘটনা ‘মুসলিম সংঘর্ষ সমিতি ‘ নামের কোন সংগঠন বাংলাদেশে করলে কেমন আক্রমনাত্নক প্রচারনায় মেতে উঠতো ভারত?)' । ফেসবুকে এই বিস্ফোরক প্রশ্ন তোলার পর আসিফ আগরতলাকাণ্ড নিয়ে লেখেন,'আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকিমিশনকে পরিপূর্ণ নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব ভারতীয় সরকারের। তারা এটি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতার নিন্দা জানাই।' একইসঙ্গে তিনি এরপর লেখেন,' নিন্দা জানাই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার মন্তব্যের। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে যা ঘটে, সংখ্যালঘু ও দলিত সম্প্রদায়ের উপর, এরজন্য বরং উল্টো ভারতের (এবং মমতার) লজ্জিত হওয়া উচিত।'
ভারত বিরোধিতা তুঙ্গে:-
ভারত বিরধিতার পারদ চড়া পর্যায়ে তুলে আসিফ নজরুল ফেসবুকে লেখেন,'ভারতে বলি, আমরা সমমর্যাদা আর সমানাধিকার ভিত্তিক বন্ধুত্বে বিশ্বাসী। শেখ হাসিনার সরকার বিনাভোটে ক্ষমতায় থাকার লোভে ভারত-তোষন নীতিতে বিশ্বাসী ছিল। তবে ভারতকে বুঝতে হবে, এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়। এই বাংলাদেশ স্বাধীন, সার্বভৌম ও আত্নমর্যাদাশীল। এই বাংলাদেশ নির্ভীক একটি তরুণ সম্প্রদায়ের।'