বউয়ের শাড়ির পরে ভারতীয় বেডশিট পোড়ালেন বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভি। মঙ্গলবার হাতে সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে ভারতীয় বেডশিট পোড়ানোর কর্মসূচির আয়োজন করেন। সেখানে মাইক হাতে নিয়ে তিনি বলতে থাকেন, ‘ভারতের জয়পুর, রাজস্থানের রাজধানী, সেই জয়পুর টেক্সটাইলের একটি বেডশিট...ভারতীয় আগ্রাসন...সেই আগ্রাসনের প্রতিবাদে আমরা এই বেডশিট এখানে নিক্ষেপ করছি।’ আর সেটা বলেই নীচে ফেলে দেন বেডশিট। তাতে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা। সঙ্গে স্লোগান ওঠে ‘ভারতীয় পণ্য, বর্জন, বর্জন।’
হার্টের রিং খোলার সাহস দেখান না, এল কটাক্ষ
আর সেই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁকে তুমুল কটাক্ষ করেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঘোজাডাঙা সীমান্তের কাছে দাঁড়িয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভিকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে আক্রমণ শানিয়েছেন। সেইসঙ্গে চরম কটাক্ষের সুরে বিজেপি নেতা বলেন যে স্ত্রী'র শাড়ি পোড়াচ্ছেন। কিন্তু বউয়ের শাড়ি পোড়ানোর আগে কয়েকদিন আগে কলকাতা থেকে হার্টে যে রিংটা লাগিয়ে গিয়েছেন, সাহস থাকলে সেটা খুলে ফেলা দেখান। সেই সাহস নেই। রিজভি হার্টের রিংটা খুলবেন না বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।
বাংলাদেশিরাও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি!
এমনিতে বউয়ের ভারতীয় শাড়ি পোড়ানোর পর থেকেই নেটিজেনদের কটাক্ষ মুখে পড়েছেন রিজভি। কটাক্ষ করেছেন বাংলাদেশিরাও। এক নেটিজেন বলেন, ‘বউয়ের পুরনো শাড়ি পুড়িয়ে ফেলে বীরত্ব না দেখিয়ে রিজভি সাহেব আপনার হার্টে যে রিংটা বসানো আছে, (ওটা খুলে ফেলুন)। সেটাও তো ভারতের। এবার আপনার হার্টের রিংটা খুলে ছুড়ে ফেলে বীরত্ব দেখান। জনগণকে আর কত ধোঁকা দেবেন?’ একইসুরে অপর এক নেটিজেন বলেন, ‘স্ত্রী'র ভারতীয় শাড়ি আগুনে পোড়ালেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভি। কিন্তু নিজের হার্টে লাগানো ভারতীয় রিং নিয়ে কিছুই বললেন না তিনি।’
এত যখন ভারত বিদ্বেষ, তাহলে কিনেছেন কেন? কটাক্ষ বাংলাদেশির
অপর একজন বলেন, ‘হায়রে নাটক…..। স্ত্রী'র শাড়ি পুড়িয়ে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিলেন রিজভি। এতই যদি ভারত বিদ্বেষ, তাহলে তাঁর স্ত্রী ভারতীয় শাড়ি কিনে আলমারি ভরে রেখেছেন কেন? সেই উত্তর জানতে চাওয়া আমার মন…।’ এক নেটিজেন আবার বলেন, ‘আপনারা (বাংলাদেশি) যদি ভারতীয় পণ্য বর্জন করতে চান, তাহলে তাঁদের নিজেদের দেশকেই মুছে ফেলতে হবে। কারণ ১৯৭১ সালে ভারতের সাহায্যের কারণে বাংলাদেশ গঠিত হয়েছিল।’