বাংলাদেশে মেডিক্যালে ভরতির পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন সুশোভ বাছাড়। তিনি খুলনার বাসিন্দা। সুশোভনের বাবা সুভাষচন্দ্র বাছাড় খুলনার টি অ্যান্ড টি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক। পড়ান টি অ্যান্ড টি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। মা বন্দনা সেনও একসময় শিক্ষক ছিলেন। মেডিক্যাল প্রবেশিকায় ৯০.৭৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন সুশোভন। রিপোর্ট অনুযায়ী, সুশোভনদের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নে। তবে বর্তমানে তাঁরা থাকেন খুলনার আজিজের মোড় এলাকায়। (আরও পড়ুন: মারা গেলেন কাজী নজরুল ইসলামের নাতি, বিস্ফোরণে শ্বাসনালী সহ পুড়েছিল দেহের ৭৪%)
আরও পড়ুন: 'ওর নামে মেয়ে ঘটিত অভিযোগ শুনিনি… আরজি করে অন্য কেউ…', মুখ খুললেন সঞ্জেয়র বোন
এদিকে সুশোভন নিজে টি অ্যান্ড টি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকেই পড়াশোনা করেন। আর এই বছর খুলনা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ফল প্রকাশের পরে সুশোভনের বাবা বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ছেলে পরীক্ষা দিয়েই দাবি করেছিল যে সে ৯০ শতাংশ নম্বর পাবে। তবে সুভাষ বাবু স্বীকার করে নেন, তিনি ভাবেননি ছেলে প্রথম হবে। এরই সঙ্গে তিনি জানান, মেডিক্যাল প্রবেশিকার জন্যে ছেলেকে কোনও অ্যাকাডেমির কোচিংয়ে পড়াননি তিনি। এদিকে নিজের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে সুশোভন নিজে দাবি করেন, তিনি কখনও সময় ধরে পড়াশোনা করতেন না। পড়ার বাইরে খেলাধুলাতেও তাঁর মন ছিল। এছাড়া তিনি সায়েন্স ফিকশন, থ্রিলার বই পড়তে ভালোবাসেন। (আরও পড়ুন: 'ছেলের ফাঁসি হোক…একা কাঁদব', আরজি করের নির্যাতিতাকে 'মেয়ের মতো' বললেন সঞ্জয়ের মা)
আরও পড়ুন: দায়িত্ব নিয়েই ২০০ অর্ডারে সই, সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারি করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
আরও পড়ুন: ৪৭১ দিন পর হামাসের হাত থেকে মুক্তি পেলেন ৩, ইজরায়েল ছাড়ল ৬৯ নারী ও ২১ কিশোরকে
এদিকে মেডিক্যালে কলেজে ভরতির ফলাফল বের হতেই ঢাকায় আবার বিক্ষোভ শুরু করেন একদন পড়ুয়া। তাঁদের দাবি, এই ফলাফল বাতিল করতে হবে। এই সব আন্দোলনকারীদের দাবি, মেডিক্যাল প্রবেশিকায় 'অযৌক্তিক' কোটাব্যবস্থা আছে। রবিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা অংশ নেন সেই বিক্ষোভে। তাঁদের অভিযোগ, কোটা থাকায় কম নম্বর পেয়েও ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন অনেকে। এহেন পরিস্থিতিতে তাঁদের দাবি, এই ফলাফল বাতিল করে নতুন করে ফল ঘোষণা করতে হবে। আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন, এই অন্তর্বর্তী সরকার থাকার পরও কেন বারবার আন্দোলন করতে হবে? রাত সোয়া ১২টার দিকে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ করে শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার সকাল ১১টার মধ্যে এই ফলাফল বাতিল না করলে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শিক্ষার্থীরা ফের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন।