২০২১ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে মঙ্গলবার দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছল ভারতীয় বায়ুসেনার বিশেষ উড়ান।
ওয়াকিবহাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১২২ জন সদস্যের দল নিয়ে পালামে নামে বায়ুসেনার সি-১৭ গ্লোবমাস্টার ৩ বিমান।
এই নিয়ে দ্বিতীয় বার প্রজাতন্ত্র দিবসে যোগ দিতে চলেছেন কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের সেনাদল। আগামী ২৬ জানুয়ারি ভারতের বৃহত্তম সরকারি অনুষ্ঠানে তাঁদের দিল্লির রাজপথে কুচকাওয়াজের অংশ হিসেবে তাঁদের মার্চ করতে দেখা যাবে। গত ৩ জানুয়ারি এই খবর প্রকাশ করেছিল হিন্দুস্তান টাইমস।
দুই দেশে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবেই এ বছর ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আমন্ত্রণ জানায় দিল্লি। সূত্রে খবর, কুচকাওয়াজে তাঁদের বিডি-০৮ রাইফেল প্রদর্শনকরবেন বাংলাদেশের সেনা সদস্যরা।
২০১৬ সালে প্রথম বিদেশি সেনাবাহিনী হিসেবে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে অংশগ্রহণ করেন ফরাসি সেনাবাহিনীর ১৩০ জনের ব্যাটালিয়ন। কুচকাওয়াজেপ্রধান অতিথিহিসেবে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ।
এ বছর কোভিড অতিমারী পরিস্থিতির কারণে কুচকাওয়াজের আয়তন ও পথ, দুই-ই কমানো হয়েছে। প্রচলিত ধারায় কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারী সেনাদল এবার ত্রিভূজাকৃতির বদলে বর্গাকারে বাহিনীকে সাজাবে। এর মূল কারণ, অতিমারীর কারণে কম পরিমাণ সেনা সমাবেশ। এই কারণে প্রতি বারের মতো ১৪৪জনের পরিবর্তে বাহিনীপিছু ৯৬ জন সদস্য কুচকাওয়াজ করবেন। তুলনায় ছোটমাপের কুচকাওয়াজের রুট নির্দিষ্ট হয়েছে লাল কেল্লার বদলে ন্যাশনাল স্টেডিয়াম পর্যন্ত।
এ বছর রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ দেখার সুযোগ পাচ্ছেন মাত্র ২৫,০০০ দর্শক, যা অন্যান্য বার থাকে এক লাখের বেশি। ১৫ বছরের কমবয়েসি শিশুদের কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করার অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের কুচকাওয়াজও করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ও অনাড়ম্বর ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।