এবার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করলেন মায়ানমার সেনার ১২ জন সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে বান্দারবানে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহম্পতিবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে আটটা নাগাদ মায়ানমারের এই সেনা সদস্যরা ঢুকে পড়ে বাংলাদেশের বান্দারবানে। নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ৩৫ নম্বর পিলারের দক্ষিণ দিক হয়ে তারা অনুপ্রবেশ করে বলে দাবি করা হয়েছে 'কালের কণ্ঠ'-এর রিপোর্টে। অনুমান করা হচ্ছে, আরাকান আর্মির তাড়াতেই প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে মায়ামারের এই সেনা সদস্যরা। তুমব্রু খাল পার হয়ে ভাজাবুনিয়া গ্রামে গিয়ে পৌঁছায় মায়ানমারের এই ১২ জন। তারপর গ্রামবাসীরা খবর দেয় বিজিবি-কে। (আরও পড়ুন: হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়া ভিড়, HMPV সংক্রমণ ছড়াতেই চিনে ফিরল কোভিড-১৯ স্মৃতি!)
আরও পড়ুন: গোয়েন্দা রিপোর্টের কারণে হিন্দুদের BCS থেকে বাদ? এবার নয়া দাবি বাংলাদেশ সরকারের
আরও পড়ুন: আন্দামান, মণিপুর… বাজেয়াপ্ত স্টারলিঙ্ক ডিভাইস নিয়ে তদন্ত, পদক্ষেপের পথে সরকার?
পরে সেখান থেকে বিজিবি মায়ানমারের ১২ সেনা সদস্যকে নিয়ে যায়। সেই ১২ জনকেই তুমব্রু বর্ডার আউট পোস্টে আটক করে রাখা হয়েছে। এদিকে অনুপ্রবেশ করা মায়ানমারের সেনাকর্মীদের কারও কাছেই কোনও অস্ত্র ছিল না বলে জানা গিয়েছে। মায়ানমারের গৃহযুদ্ধের আবহে বাংলাদেশ সীমান্তে মাঝেমাঝেই বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায়। এদিকে সীমান্তের ওপারের অশান্তির আঁচ এসে পড়ছে বাংলাদেশেও। এই আবহে জুন্তার পাশাপাশি আরাকান আর্মির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয় বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে। এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দাবি করেন, মায়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তের নিয়ন্ত্রণে আছে তারা। (আরও পড়ুন: ISIS অনুপ্রাণিত জব্বরের গাড়িতে ছিল IED ডেটোনেটর, আর বাড়িতে গোয়েন্দারা দেখলেন…)
আরও পড়ুন: শুরু মান-অভিমান পালা, হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের 'সৈনিকরা' ক্ষুব্ধ, অবরোধ ঢাকায়
মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের প্রায় পুরোটাই দখল করে নিয়েছে আরাকান আর্মি। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে রাখাইনে জুন্তা বাহিনীর ঘাঁটি নিশানা করে হামলা শুরু করেছিল আরাকান আর্মি। এই আবহে রাখাইন প্রদেশের ১৭টি শহরের মধ্যে ১২টিরই দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি। এদিকে মায়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যকার ২৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত আছে। এর আগে মংডু শহর দখলের সঙ্গে সঙ্গেই সেই ২৭০ কিলোমিটারের পুরোটাই দখলে চলে গিয়েছে আরাকান আর্মির। বর্তমানে রাখাইন প্রদেশের সিত্তে শহরটি জুন্তার দখলে রয়েছে। তবে প্রদেশের অধিকাংশের ওপরই জুন্তার কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। (আরও পড়ুন: ডিএ বৃদ্ধির নাম নেই, তারই মধ্যে অর্থ দফতরের কর্মীদের নিয়ে বিস্ফোরক সরকার)
আরও পড়ুন: হাসিনাকে ফেরত চাইতে 'সব কাজ' শেষই করেনি ঢাকা, কী করবে দিল্লি?
এদিকে রাখাইন প্রদেশে এখনও প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা আছে বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে রোহিঙ্গারা আপাতত জুন্তাকে সমর্থন করছে। বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির থেকে অনেক রোহিঙ্গা দেশে ফিরে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিয়েছে। আবার আরাকান আর্মিও নাফ নদের তীরে রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। এই আবহে গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে ৮০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলে দাবি করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস নিজে। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সীমান্তে বাংলাদেশ উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং বিজিবির নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।