সম্প্রতি বাংলাদেশের একাধিক মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকল। শুক্রবার রাতে নাটোর সদর উপজেলার বড়হরিশপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় এক সেবায়েতকে খুন করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। নিহত সেবায়তের নাম তরুণ চন্দ্র দাস। তাঁর বয়স ছিল ৫৫ বছর। তিনি বিগত প্রায় ২৩ বছর ধরেই সেই শ্মশানে থাকতেন। জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে শ্মশানের মন্দিরে যান ভক্তরা। সেই সময় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হয় তরুণের মৃতদেহ। (আরও পড়ুন: 'এমনটা নয় যে বাংলাদেশের সব হিন্দুকে ভারতে নিয়ে আসতে হবে…', মত তথাগত রায়ের)
আরও পড়ুন: 'ধর্ম নিয়ে যারা চাপাচাপি করে…', বাংলাদেশি হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে বলল জামাত
এদিকে তরুণের খুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়। প্রাথমিক ধারণা, ডাকাতি করার জন্যেই হামলা চালানো হয়েছিল। এবং ডাকাতরাই তরুণকে খুন করে গিয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মন্দিরের দান বাক্সের ও ভান্ডার ঘরের তালা ভাঙা ও গ্রিল কাটা ছিল। মন্দিরের টাকা এবং কাঁসা পিতলের বাসনপত্র নিয়ে গিয়েছে ডাকাতরা। এদিকে পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে ধরতে পারেনি। (আরও পড়ুন: স্কুলে স্কুলে পড়ছে অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা, চিহ্নিত করতে নির্দেশ পুরসভার)
আরও পড়ুন: আন শহরও আরাকান আর্মির দখলে, রাখাইন প্রদেশে আরও শক্তিবৃদ্ধি বিদ্রোহীদের
এর আগে ১৯ এবং ২০ ডিসেম্বর ময়মনসিংয়ের হালুয়াঘাট উপজেলায় দুটি মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছিল। ২০ তারিখ শাকুয়াই ইউনিয়নের বন্দেরপাড়া মন্দিরের দুটি মূর্তি ভাঙচুর করেছে দুষ্কৃতীরা। এদিকে ১৯ তারিখ বিলডোরা ইউনিয়নের একটি মন্দিরে মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হালুয়াঘাট থানার ওসি। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি জানিয়েছেন যে সেই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আলালউদ্দিন নামে এক যুবককে (২৭) গ্রেফতার করা হয়েছে। যুবক নিজের দোষ কবুল করে নিয়েছে বলে দাবি করেছেন হালুয়াঘাট থানার ওসি। তাকে আদালতে পেশ করা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। (আরও পড়ুন: 'ভারতকে খাটো করে দেখবেন না', বাংলাদেশকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি মিঠুনের)
তারও আগে গত ১৭ ডিসেম্বর দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ঝাড়বাড়ি শ্মশান কালী মন্দিরের পাঁচটি মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। এদিকে সম্প্রতি ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের উপর ২২০০টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেই পরিসংখ্যান অবশ্য মানতে চায়নি বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের প্রেস উইংয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে, অতিরঞ্জিত তথ্য পেশ করা হয়েছে। আর সংখ্য়ালঘুদের উপরে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেটা মূলত রাজনৈতিক। আর তারইমধ্যে পরপর হিন্দু মন্দিরে হামলা চালানোর ঘটনা সামনে আসছে বাংলাদেশ থেকে।