আজ মহাষষ্ঠী। এই উপলক্ষ্যে উৎসবের আমেজে মেতে উঠল মানুষজন। গোটা রাজ্যে এখন উৎসবের আমেজ। রাস্তায় ঢল নেমেছে মানুষজনের। এখন এই উৎসবের মধ্যেই মহাষষ্ঠীতে এল খারাপ খবর। তবে এই খবর এসেছে ওপার বাংলা অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে। এখন সেখানে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার চলছে। আর এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস কদিন আগেই আমেরিকা গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন ইউনুস। তখনই তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশে এখন তিনি সংস্কার আনবেন। আর সেটা সর্বক্ষেত্রে। আর আজ, বুধবার খবর এল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবসের ছুটি বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
এই খবর বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে নতুন প্রজন্মের কোনও ভ্রুক্ষেপ দেখা না গেলেও প্রবীণরা সেটা ভালভাবে নেননি বলেই সূত্রের খবর। কিন্তু এখন পরিস্থিতি পরিবেশ পাল্টেছে। কোটা সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন থেকে তা শুরু হয়েছিল। পরে তা এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, শেখ হাসিনা সরকারকে ফেলে দেওয়া হয়। তারপর তুমুল অশান্তির বাতাবরণ দেখেছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর মূর্তি পর্যন্ত আক্রান্ত হয়। এবার থেকে ১৭ মার্চের সরকারি ছুটি আর নাও পাওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশবাসী তা থেকে বঞ্চিত থাকবেন। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ওই দিনটিকে জাতীয় শিশু দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নেন। আর সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ‘বড় পুজোর ভিড়ে গিয়ে গোলমালের অপচেষ্টা’, জুনিয়র ডাক্তারদের আক্রমণ করলেন কুণাল
১৯৯৭ সালের ১৭ মার্চ থেকেই দিবসটি পালন করা শুরু হয়। পরে এই তারিখকে সাধারণ ছুটিও ঘোষণা করা হয়। এবার থেকে তা আর মিলবে না বলে সূত্রের খবর। আগে ১৫ অগস্ট ছুটি দেওয়া হতো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস হিসাবে। সেসব ছুটিও বাতিল করে এই অন্তর্বর্তী সরকার। ১৯৭৫ সালের ওইদিন ঢাকার বাড়িতে সপরিবারে নিহত হন বঙ্গবন্ধু। পরে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হলে ওই দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেন। আর সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন।
একের পর এক ছুটি বাতিল করা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এটাই কি তাহলে সংস্কারের পথ? বাংলাদেশের ইতিহাস কি মুছে দিতে চাইছে অন্তর্বর্তী সরকার? এগুলিই এখন সাধারণ মানুষের মনের প্রশ্ন। এখন মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামি লিগের নেতা–কর্মীদের গ্রেফতার করে চলেছে বলে অভিযোগ। তাই তাঁরা ওপার বাংলা থেকে কাঁটাতার পেরিয়ে এপার বাংলায় আসতে চান। একইরকমভাবে শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি মুছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এবার আরও একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষার জন্য তৈরি ‘জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন–২০০৯’ বাতিল করা হয়েছে।