জামিন পেলেন চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের আইনজীবীরা। তাঁদের জামিন মঞ্জুর করে চট্টগ্রাম আদালত। বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের কাছে এটা একটা বড় প্রাপ্তি বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন যাঁরা জামিন পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী শুভাশিস শর্মাও। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। জামিন ঘিরে সংঘর্ষ এবং ভাঙচুরের অভিযোগে করা মামলায় আসামি হওয়া ৬৩ আইনজীবীর জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সরকার হাসান শাহরিয়ার এই জামিনের নির্দেশ দেন।
গত ২৫ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছিল চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে। তাকে চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হলে তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে দেয় আলাদত। তখন আদালত চত্বরে সংঘর্ষ এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছিল। এই ঘটনায় চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের আইনজীবীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই ৬৩ জন আইনজীবীর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক। তাতে খানিকটা স্বস্তি মিললেও চিন্ময়কৃষ্ণ জামিন পেলে আরও স্বস্তি মিলত।
আরও পড়ুন: স্যালাইন-কাণ্ডের তদন্তে মেদিনীপুর হাসপাতালে সিআইডি, জোরকদমে চলছে প্রমাণ জোগাড়
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার করা হয় চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে। গত ২ জানুয়ারিও তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। তবে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভূঁইয়ার বলেন, ‘চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন ঘিরে ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর আদালতে হওয়া সংঘর্ষের ঘটনায় যে মামলা দায়ের হয়েছিল সেই মামলার আসামি ৬৩ জন আইনজীবী আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। এক হাজার টাকার বন্ডে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।’
সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের জন্য আবেদন করেন আইনজীবীরা। তাঁদের আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী জানান, এই মামলায় যে আইনজীবীদের অভিযুক্ত করা হয় তাঁরা কেউই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। যিনি এই আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনিও ঘটনাস্থলে ছিলেন না। ওই আইনজীবীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও রিপোর্টও জমা করতে না পারায় আদালত তাঁদের শুনানিতে সন্তুষ্ট হয়ে আইনজীবীদের জামিন দিয়েছেন। ওই ৬৩ আইনজীবী জামিন পেতেই বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীদের বিরুদ্ধ একাংশ। আলিফ হত্যা মামলার সরকারি আইনজীবী জিয়াউর রহমান জানান, আদালত ওই আইনজীবীদের জামিন দেওয়ায় তাঁরা ব্যথিত। এই জামিনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।