চট্টগ্রাম শহরে ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়ল পুলিশ কর্তা সহ ৬ জন! বিগত দিনে চট্টগ্রামে হিন্দুদের ওপর একাধিক অত্যাচারের ঘটনা সামনে এসেছে। এই সব ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে সেখানকার পুলিশ। আর সেই পুলিশই এবার ধরা পড়ল ডাকাতি করতে গিয়েছ। প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, ধৃতরা হলেন বাকলিয়া থানার চাক্তাই পুলিশ ফাঁড়ির অ্যাসিস্টেন্ট সাব ইন্সপেক্টর ফারুক মিয়া, তাঁর সহযোগী জয়নাল আবেদিন, মহম্মদ আকবর, ফজলুল করিম, মিজানুর রহমান ও সোহেল রানা। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এই ৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে ঘটনার পর এএসআই ফারুককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: 'পুরনো অসম মেলের রাস্তা খুলে যাবে...', 'বাংলাদেশ ভাগের ছকে' খুশি তথাগত রায়)
আরও পড়ুন: ধার নিল, প্রাণও নিল! বাংলাদেশে হিন্দু মহিলাকে কুপিয়ে খুন, অভিযুক্ত প্রতিবেশী
আরও পড়ুন: কবে বাংলাদেশের গদি থেকে সরতে পারেন ইউনুস? ইঙ্গিত দিলেন তাঁর সরকারেরই উপদেষ্টা
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে নগরের বাকলিয়া থানার কল্পলোক আবাসিক এলাকার একটি বহুতলের ৯ তলায় ১৬ জনের একটি দল ডাকাতি করতে যায়। তারা ৮ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৩৫ হাজার টাকা লুট করে। পরে স্থানীয়কা ধাওয়া করে কয়েকজন ডাকাতদের ধরে ফেলে। তাঁদের মধ্যেই অন্যতম ছিলেন এই এএসআই পদে থাকা পুলিশ অফিসার। (আরও পড়ুন: ইউনুসের সঙ্গে বৈঠকের পরই চিন্ময় প্রভুর হয়ে সরব বাংলাদেশের ফাদার রোজারিও, বললেন…)
আরও পড়ুন: 'রাজনীতি ছিল তা প্রমাণ হয়ে গেল', আরজি কর আন্দোলন নিয়ে তোপ মমতার
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু উপাচার্যের পদত্যাগ, বিপ্লবের নামে অত্যাচার?
এদিকে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত চন্দন দাসকে সম্প্রতি গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, চন্দন দাসই নাকি কিরিচ হাতে আইনজীবীকে কুপিয়েছিলেন। সেই সময় তার পরনে ছিল কমলা রঙের গেঞ্জি আর কালো প্যান্ট। জানা গিয়েছে, গতরাতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেল স্টেশনের কাছ থেকে চন্দনকে গ্রেফতার করা হয়। শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পথে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ দাবি করেছে, ঘটনার দিন ধারালো অস্ত্র দিয়ে আইনজীবী সাইফুলকে কোপান ওম দাশ, চন্দন ও রনব। বাকি আরও অনেকে সাইফুলকে মারতে থাকেন। পুলিশ দাবি করছে, তারা নাকি খুনের ভিডিয়ো হাতে পেয়েছে। সেই ভিডিয়ো ফুটেজ দেশে শনাক্ত করা হয়েছে ধৃতদের। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন সেই আইনজীবীকে মারছে। এর মধ্যে দু'জন হেলমেট পরে থাকা ব্যক্তি কুপিয়েছে সাইফুলকে। (আরও পড়ুন: এমন সব ইস্যু… ভারতের চিন্তায় 'ঘুম উড়ল' বাংলাদেশের! স্মারকলিপি ভারতীয় হাইকমিশনে)
আরও পড়ুন: ভারতকে 'অস্থিতিশীল করার' চেষ্টায় আছে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট: বিজেপি
প্রসঙ্গত, গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছিল বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। সেই সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুও। সেই সমাবেশেই নাকি তিনি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছিলেন। এই অভিযোগেই চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। গত ৩১ অক্টোবর চিন্ময় দাস-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সেই নেতা। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই গত ২৫ নভেম্বর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে গ্রেফতার করে ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। এরপর তাঁকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের আদালতে বাইরে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকে জড়ো হয়েছিলেন চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানাতে। সেই জনতার ওপর নির্বিচারে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এই সংঘর্ষে এক আইনজীবী খুন হন। সেই খুনের ঘটনায় সব মিলিয়ে ১০ জন হিন্দুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে অভিযোগ উঠছে, ইচ্ছে করে সংখ্যালঘুদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এদিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের হয়ে কোনও আইনজীবী যাতে মামলা না লড়েন, তার জন্যে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। (আরও পড়ুন: ইউনুস জমানায় বাংলাদেশ থেকে কতজন অনুপ্রবেশ করেছে ভারতে? জানাল BSF)
আরও পড়ুন: ৮৪'র দাঙ্গাকে 'গণহত্যা' আখ্যার প্রস্তাব, কানাডার সংসদে তারপর যা হল…
এর আগে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল - রুমিত দাস, সুমিত দাস, গগন দাস, নয়ন দাস, বিশাল দাস, আমান দাস ও মনু মেথরকে। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুগামী এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মোট তিনটি পৃথক মামলা করা হয়েছে। মোট ৭৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে সেই সব মামলায়। এছাড়াও মামলায় অভিযুক্ত আরও ১ হাজার ৩০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। সেদিনের সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্যসহ আহত হন অন্তত ৩৭ জন।