দুর্গাপুজোর মধ্যে ‘অন্ধকারে ডুবে গেল' বাংলাদেশের বড় অংশ। জাতীয় গ্রিডের সরবরাহ লাইনে গোলযোগের কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিং, সিলেট-সহ বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সমস্যা সমাধানের জন্য কমপক্ষে দুই থেকে তিন ঘণ্টা লাগবে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার দুপুর দুটো নাগাদ (বাংলাদেশের স্থানীয় সময় অনুযায়ী) ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে বিদ্যুৎ চলে যায়। ৩০ মিনিট পরে চট্টগ্রামেও একই অবস্থা হয়। ময়মনসিং, মৌলভিবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মতো এলাকায় একই অবস্থা হয়েছে। সিলেটের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চিফ ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন যে সিলেটের পুরো বিভাগেই বিদ্যুৎ নেই।
আরও পড়ুন: Cyclone in Bangladesh: দুর্গাপুজো, কালীপুজোর মাসেই তৈরি হতে পারে একটি নিম্নচাপ, অনুমান হাওয়া অফিসের
আচমকা কেন বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের বড় অংশ?
সিলেট, ঢাকা, ময়মনসিং, মৌলভিবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মতো এলাকার বিদ্যুৎ বিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, স্থানীয় গ্রিডে কোনও সমস্যা দেখা দেয়নি। জাতীয় গ্রিডের সমস্যার জন্যই বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের বড় অংশ। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পিজিসিবির শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন যে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এরকম বিপত্তি হয়েছে। বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনে গোলযোগ হওয়ায় এত বড় বিপর্যয় হয়েছে বাংলাদেশের বড় অংশে। ফের বিদ্যুৎ পরিষেবা কিছুটা স্বাভাবিক হতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা লাগবে বলে জানিয়েছেন পিজিসিবির ওই শীর্ষকর্তা। তিনি জানান, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে।
তবে এই প্রথম এত বড় মাপের বিদ্যুৎ বিপর্যয় হল না, ২৮ দিন আগেই একইভাবে বড়সড় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মুখে পড়েছিল বাংলাদেশে। সেইসময় জাতীয় গ্রিডের সরবরাহ লাইনে বিভ্রাটের রাজশাহি, রবিশাল, খুলনা-সহ বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অংশ প্রায় দেড় ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। কয়েকটি জায়গায় ৪০ মিনিট বিদ্যুত ছিল না বলে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছিল। সেই বিভ্রাটের কারণ অনুসন্ধানে চার সদস্যের কমিটি গঠনও করছিল পিজিসিবি।