রেজাউল এইচ লস্কর
ভারতের উত্তরপূর্বের সাত রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রীকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মূলত উভয়পক্ষের মধ্য়ে যোগাযোগ ব্য়বস্থার যাতে উন্নতি হয়, বাণিজ্য ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে সুবিধা হয় সেব্যাপরেই আলোচনার জন্য় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মিনিস্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অফ দ্য নর্থ ইস্টার্ন রিজিয়ন জি কিষান রেড্ডির আলোচনা হয়েছিল। তারপরই এনিয়ে অগ্রগতি হয়। ভারত বাংলাদেশের এই প্রস্তাবকে মেনে নিয়েছে। তবে ঠিক কোন সময়ে এই সফর হবে তা নিয়ে এখন চিন্তাভাবনা চলছে।
Neighbourhood first এই নীতিতে চলে ভারত। আর সেই নীতি অনুসারে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। দুদেশের মধ্য়ে সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার জন্য় ইতিমধ্য়েই নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রেলযোগে ও জলপথে যোগাযোগ আগের তুলনায় বেড়েছে।
এদিকে অসম, মেঘালয়, মিজোরাম ও ত্রিপুরাকে ছুঁয়ে চলে গিয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য়ে সীমান্ত রেখা। ভারত বিরোধী শক্তি যখন বাংলাদেশে মাথাচাড়া দেয় সেক্ষেত্রেও সেখানকার প্রশাসন কড়া ব্য়বস্থা নেয়। তার জেরে দুদেশের সুরক্ষা ব্য়বস্থা আরও সুদৃঢ় হয়।
এদিকে ঢাকাতে সম্প্রতি ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনার সময় বাংলাদেশের বিদেশ দফতর বিষয়ক মন্ত্রী শাহরিয়র আলম জানিয়েছিলেন, হাসিনা ও রেড্ডির মধ্য়ে আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে। উত্তরপূর্বের মুখ্য়মন্ত্রীরা ঢাকাতে এলে যোগাযোগ ব্যবস্থা সুদৃঢ় করার ব্যাপারে আলোচনা হবে।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উত্তরপূর্বের সেভেন সিস্টার্সের আলোচনা কবে হয় সেদিকেই তাকিয়ে বিভিন্ন মহল।