প্রয়োজনের তুলনায় কম মিলছে করোনাভাইরাস টিকা। সেজন্য ভারতকে দুষলেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। দাবি করলেন, ভারতের সঙ্গে তিন কোটি ডোজের চুক্তি হয়েছিল। সবমিলিয়ে মাত্র এক কোটি ডোজ পাঠানো হয়েছে।
শনিবার মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে করোনা টিকার ৩০ লাখ ডোজ দিয়েছে নয়াদিল্লি। সেইসঙ্গে তিন কোটি ডোজের যে চুক্তি করা হয়েছিল, তার মধ্যে মাত্র ৭০ লাখ দেওয়া হয়েছে। কমপক্ষে দু'কোটি ডোজ পাওনা আছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এমনিতে কোভিশিল্ডের জন্য সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এসআইআই) সঙ্গে চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। প্রাথমিকভাবে ঢাকায় টিকাও পাঠানো হয়। কিন্তু ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে সেই প্রক্রিয়া ধাক্কা খায়। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী জানান, যত দ্রুত সম্ভব ঢাকায় করোনা টিকা পাঠাতে চায় নয়াদিল্লি। আওয়ামি যুব লিগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সঙ্গে সাক্ষাতের তিনি বলেন, 'দ্রুত বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে বলে আশাবাদী আমরা। ভারতের করোনা পরিস্থিতি এখনও বিপজ্জনক অবস্থায় আছে। তাই ঠিক কোন সময় বাংলাদেশকে টিকা পাঠানো হবে, তা আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারব না।'
তারইমধ্যে ভারতীয় টিকার পাশাপাশি টিকা নিয়ে চিনের সঙ্গে চুক্তি করেছে ঢাকা। ইতিমধ্যে কিছুটা ডোজ পাঠিয়েছে বেজিং। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, চিনের সঙ্গে দু'কোটি ডোজ কেনার চুক্তি করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ৬.৮ কোটি টিকার ডোজ ক্রয়ের জন্য অগ্রিম বুকিং করা আছে। চুক্তিমাফিক সব দেশে টিকা প্রদান করলে চলতি বছরের মধ্যে ঢাকার হাতে ১১ কোটি টিকার ডোজ চলে আসবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।